ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ হলেও চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচন কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনও নিতে পারেনি কমিশন। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, কেন্দ্র সংখ্যা কমানো-বাড়ানোসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
চলতি বছরের মার্চেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করে এগুচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সকলেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের জন্য আগামী মার্চ মাসকে উপযুক্ত সময় ভাবছেন। ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের পর নির্বাচিত পরিষদের যেদিন প্রথম সভা হয়, সেদিন থেকে মেয়াদ গণনা শুরু হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন একসঙ্গে হলেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত পরিষদের (মেয়র ও কাউন্সিলর) প্রথম সভাটা বিলম্বে হয়েছে। সেজন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে নির্বাচনের আগের ১৮০ দিনের গণনা শুরু হবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হলে শেষের দিকে তপসিল ঘোষণা হতে পারে এবং মার্চের মাঝামাঝি সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা গতকাল জানান, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হবে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের দিনক্ষণ গণনা। তবে এপ্রিলে রমজান এবং বোর্ড পরীক্ষা থাকার কারণে মার্চ মাসই উপযুক্ত সময়। মার্চ মাসে সম্ভবত পরীক্ষা বা অন্য কোনো প্রোগ্রাম নেই। এদিকে ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ঢাকার পরেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সেটাই লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের মতো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও ইভিএমে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন। চসিক নির্বাচন প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান বৃহস্পতিবার চাটগাঁর তাজকে বলেন মার্চে নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে আমরা মাঠ পর্যায়ে প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছি। থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ভোট কেন্দ্রের তালিকা তৈরী করে একটি করে কপি দিতে বলেছি। যখন কমিশন চাইবে তখনই যাতে দিতে পারি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মেয়র ও ৪১ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর এবং ১৪ ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।