G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

দোহাজারী হাসপাতালে ‘ফ্লু কর্নার’ চালু

0

 

মোঃ কামরুল ইসলাম মোস্তফা

চন্দনাইশঃ
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাবিশ্বে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন দুইজন। শিবচর উপজেলা ও ঢাকার কয়েকটি ভবন লকডাউন করা হলেও চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি।

চন্দনাইশ উপজেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাস রোগী বা এ রোগের লক্ষণ দেখা না গেলেও পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ বিদেশ ফেরত ১৯ জনকে হোম কোয়ারেইন্টানে রাখা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড।

শনিবার (২১ মার্চ) থেকে উপজেলার দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চালু করা হয়েছে করোনা সতর্কতা ফ্লু কর্ণার।

জ্বর, সর্দি, হাঁচি, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট আছে এমন রোগীদের হাসপাতাল কম্পাউন্ডের ২নং গেইটের সামনে চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা মানুষদের পরস্পর থেকে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হাসপাতালের প্রবেশমূখ থেকে ২নং গেইটের সামনে পর্যন্ত প্রতি তিনফুট পর পর রং দিয়ে মার্কিং করে দেয়া হয়েছে।

শনিবার প্রথম দিনে ১৯৬ জন এবং রবিবার (দুপুর ১ টা পর্যন্ত) ১৫৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন এই ফ্লু কর্নারে। জ্বর, হাঁচি, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি সচেতনতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দিচ্ছেন ফ্লু কর্নারের চিকিৎসক দোহাজারী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আবু তৈয়্যব।

হাসপাতালের বাইরে আলাদাভাবে ফ্লু কর্নার চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সাধারণত করোনা ভাইরাসের লক্ষণ হলো জ্বর, সর্দি, হাঁচি, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। এই ধরনের রোগীদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত কোন রোগীও থাকতে পারে। তারা হাসপাতালে এসে অন্য রোগীদের সংস্পর্শে গিয়ে যাতে করোনা ভাইরাস ছড়াতে না পারে সেদিকে লক্ষ রেখে চিকিৎসক, নার্স, স্টাফ ও অন্যান্য রোগীদের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে আলাদাভাবে ফ্লু কর্নার চালু করা হয়েছে। ফ্লু কর্নারে চিকিৎসা নেয়া রোগীদের মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধোয়া ও জনসমাগম এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের হোম কোয়ারেইন্টানে থাকতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যেহেতু করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এখনো পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি, সেহেতু সচেতনতাই উত্তম পন্থা।

যার যার অবস্থান থেকে সচেতনতামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসা কর্মকর্তা।

সি-তাজ২৪.কম/এস.টি

Leave A Reply

Your email address will not be published.