মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ
দেশে করোনার টিকাদানের জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তারা টিকা আনার উদ্যোগের পাশাপাশি টিকা সংরক্ষণ এবং দেশব্যাপী টিকা বিতরণের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পযার্য়ে । এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সারাদেশের ন্যায় কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ আজ বুধবার সকাল ১১ টায় বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হল রুমে প্রশিক্ষন উদ্বোধন করা হয়েছে।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং আগে যারা টিকা নিয়ে কাজ করেছেন তারাই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবেন। সুষ্ঠুভাবে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে ন্যায় বাঁশখালীতে ও টিকাদানে প্রশিক্ষিত পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার স্বেচ্ছাসেবীরা এসব ভ্যাকসিন পাবেন।
প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্টানে
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শফিকুর রহমান মজুমদার বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নির্দেশিকাও চূড়ান্ত হয়েছে।
প্রশিক্ষণে করোনা সংক্রমণের সাধারণ ধারণার পাশাপাশি টিকা কেন্দ্র পরিচালনা, টিকা দেওয়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি শেখানো হবে। প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে ৬ জন করে দায়িত্বে থাকবেন। তাদের মধ্যে দুইজন দক্ষ টিকাদান কর্মী এবং ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।পাশাপাশি টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে করণীয় সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হবে কর্মীদের। উপজেলা পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি শেষ হলে পরে ইউনিয়ন পরিষদ ভিত্তিক টিকাদান কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা/সদর হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, পুলিশ-বিজিবি হাসপাতাল ও সিএমএইচ, বক্ষব্যাধি হাসপাতালে প্রথম ধাপের ৫০ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।