সোমবার ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এই খবর জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন ঢাকা সফরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর ভারতের গান্ধী শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে। এই সম্মান বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। যদিও অন্য একটি সূত্রের খবর, বছরের অন্য সময়ে এই সম্মান প্রদানের জন্যে দিল্লিতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে এবং লোকসভার বিরোধী দলের নেতা, অধীর চৌধুরী। লোকসভার স্পিকার ওম বিরল এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সুলভ ইন্টারন্যাশনালের প্রধান বিন্দেশ্বর পাঠকও যে কমিটির সদস্য। এর আগে এই সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন তানজানিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস নায়ারে, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, আর্চ বিশপ ডেসমন্ড টুটু ও বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। রামকৃষ্ণ মিশন, বাবা সাহেব আমতের মত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও এই সম্মাননা জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজের জন্যে বাংলাদেশের ভূমিকা ভারত কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই দু’দেশের মধ্যে সম্প্রীতি এবং বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্তরিক জীবন উৎসর্গ করার উদাহরণও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, যখন বাংলাদেশ জুড়ে মুজিব বর্ষ পালিত হচ্ছে, তখন প্রতিবেশী স্বাধীন রাষ্ট্রের স্থপতিকে এই সম্মান জানাতে পেরে ভারতও গর্বিত। অহিংসভাবে একটি জন-আন্দোলনের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাও উল্লেখ করেছেন গান্ধী শান্তি পুরস্কার কমিটি।
জানা গেছে, ক’দিন আগে ১৯ মার্চ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। অহিংস এবং মহাত্মা গান্ধীর ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্যেই স্বীকৃতি স্বরূপ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে মরণোত্তর ভারতের গান্ধী শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে।
এক কোটি ভারতীয় টাকা মূল্যের এই সম্মানের সঙ্গে দেওয়া হয় একটি স্মারক এবং প্রথাগত কিছু হস্তশিল্পের নিদর্শন।
সি-তাজ২৪.কম/এস.টি