ভারতের তিনটি নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতা অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে চাচ্ছে দেশটির সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম)। কেন্দ্রীয় কৃষক সংগঠনগুলির সংযুক্ত মোর্চা শুক্রবার ১২ ঘণ্টা ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। এর ফলে গোটা ভারত অচল হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে এই বন্ধ সফল করার আহ্বানও জানিয়েছেন এসকেএম নেতারা।
এসকেএমের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার তাদের দাবি মানতে চাচ্ছে না। উল্টো দিল্লির সীমানায় চার মাস ধরে চলা কৃষক আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই বনধে রেল, সড়ক ও বাজার বন্ধ রাখার ডাক দেওয়া হয়। তবে যেসব জায়গায় নির্বাচনের কাজ চলছে, সেগুলিকে বনধের বাইরে রাখার কথাও বলা হয়েছে। ফলে গোটা দেশে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডির পার্টি ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো কয়েকটি রাজনৈতিক দল এরইমধ্যে বনধকে সমর্থন করেছে।
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সভাপতি রাকেশ টিকাইত বলেন, ‘সরকার আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।’ তিনি বলেন, ‘এ লড়াই আরও দীর্ঘ হবে। দিল্লির পাশাপাশি এই আন্দোলন দেশের অন্য শহরগুলিতেও ছড়িয়ে দিতে হবে। যতদিন না এই কালো আইন তুলে নিয়ে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, ততদিন এ আন্দোলন চলবে।’
এ নতুন তিনটি কৃষি আইন নিয়ে কৃষক সংগঠন এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিজের অবস্থানে অনড়। ১১ বার এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে দুই পক্ষের। কিন্তু বিশেষ কোনো সমাধান সূত্র বের হয়নি। সরকারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, নতুন আইন ১২ থেকে ১৮ মাসের জন্য স্থগিত রাখা হবে। যদিও প্রত্যাহারের প্রস্তাবে রাজি হয়নি সরকার। কিন্তু, আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাবে রাজি হয়নি কৃষক সংগঠনগুলি
সি-তাজ২৪.কম/এস.টি