মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের,বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা সদরের একটি স্বর্ণের কারিগরি কারখানার দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যে কোনো সময়
বাঁশখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ব্যস্ততম আদালত ভবন রোড়ের ভ্রাম্মন পাড়া পাড়ার টেক এলাকার মান্নান টাওয়ারের সামনে মান্নান মার্কেটের সেমিপাকা চন্দন শিল্পালয় নামক একটি জুয়েলার্সের কারিগরি কারখানায় এ ঘটনা ঘটেছে।
চোরের দল ওই স্বর্ণের দোকানের প্রধান ফটকের ৪ টি ও সিন্দুকের ৩ টি তালা ভেঙে ৬ ভরি ৪ আনা স্বর্ণালংকার, রুপার তৈরি ১৫ জোড়া পায়ের নুপুর ও নগদ ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের আদালত রোড়ের ভ্রাম্মণ পাড়া এলাকায় মান্নান টাওয়ারের সামনে মান্নান মার্কেটের নিচতলায় সেমিপাকা দোকানে মঙ্গলবার গভীর রাতে অজ্ঞাত চোরের দল হানা দেয়। এসময় চোরের দল ওই মার্কেটের নিচতলায় চন্দন শিল্পালয় স্বর্ণের কারিগরি কারখানার প্রধান ফটকের ৪ টি ও সিন্দুকের ৩টি তালা ভেঙে ৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
চন্দন শিল্পালয় স্বর্ণের কারিগরি কারখানার মালিক চন্দন ধর জানান,
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে চলে যান। পরে বুধবার আমাদের মনসাপূজা থাকার কারনে সারাদিন দোকানে আসিনি। সন্ধা ৭ টার দিকে স্থানীয় ডাব ব্যবসায়ী হামিদউল্লাহ আমাকে ফোনে জানান আমার দোকানের গেইটের গ্রিলের তালা কাটা। পরে আমি এসে দোকানে ডুকে দেখি কোন মালামালা পাওয়া যায়নি। রাতের কোনো এক সময় পাশের ‘গ্রিলের ৪ টি তালা কেটে চোরেরা ভেতরে ঢোকে এবং সিন্দুকের ৩ টি তালা কেটে ৬ ভরি ৪ আনা স্বর্ণালঙ্কার, ড্রয়ারে থাকা ১৫ জোড়া রুপার তৈরি পায়ের নুপুর ও নগদ ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আমার মনে হচ্ছে শত্রুতামূলক ভাবে আমার দোকানটি পরিকল্পিত ভাবে চুরি করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. সফীউল কবীর জানান, চন্দন শিল্পালয় জুয়েলার্সের কারিগরি কারখানা চুরির খবর আমাকে কেউ জানাইনি। এ বিষয়ে দোকান মালিকদের পক্ষ থেকে থানায় এ পর্যন্ত কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।