আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন। রোববার এ হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
জাওয়াহিরির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জো বাইডেন বলেন, জাওয়াহিরি মার্কিন নাগরিকদের ওপর হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতা চালিয়েছিলেন। এ সন্ত্রাসী নেতার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার সময় আল–কায়েদার এ নেতা কাবুলে একটি বাড়ির ব্যালকনিতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ড্রোন থেকে তাকে লক্ষ্য করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এতে জাওয়াহিরির মৃত্যু হয়। ওই বাড়িতে তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। তবে হামলায় তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন অভিযানে আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর ২০১১ সালের ১৬ জুন আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে আল-কায়েদার নতুন নেতা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওসামা বিন লাদেনের ডান হাত
একই সময়ে, তালেবানের একজন মুখপাত্র বলেন যে রোববার কাবুলের একটি আবাসিক এলাকায় আমেরিকান ড্রোন হামলা হয়েছে।
তিনি এই আক্রমণকে আন্তর্জাতিক নীতির পরিষ্কার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন।
আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন এবং আল-জাওয়াহিরি এক সাথে আমেরিকার ওপর যুদ্ধ ঘোষণা করেন, এবং ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের আক্রমণের আয়োজন করেন।বলে অভিহিত করেন।
আল-জাওয়াহিরি মিসরের ইসলামি জিহাদ নামক জঙ্গি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালের মে মাসে মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হবার পর আল-জাওয়াহিরি আল-কায়েদার নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
তার আগে আল-জাওয়াহিরিকে ওসামা বিন লাদেনের ডান হাত আর আল-কায়েদার মূল চিন্তাবিদ বলে গণ্য করা হত।
সি-তাজ২৪.কম/এস.টি