G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

খুনির আশ্রয়দাতাদের কাছে মানবাধিকার শিক্ষা নিতে হয়: প্রধানমন্ত্রী

0

জাতীয় শোক দিবসজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের ফেরত না দেওয়া দেশগুলোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, তাদের কাছ থেকে আমাদের মানবাধিকার শিক্ষা, মানবতার ছবক নিতে হয় ওরাও আমাদের শেখায়তে আসে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যেসব দেশ মানবাধিকারের প্রশ্ন তোলে, আমাদের স্যাংশন দেয়, তারাই তো খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। ‘

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এদের কাছ থেকে আমাদের মানবাধিকারের শিক্ষা নিতে হয়। তারা আমাদের মানবতার ছবক শেখায়। যারা কিনা আমার বাবা-মা, নারী-শিশুদের খুনিদের রক্ষা করে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, এই খুনি রাশেদ ছিল কমান্ডিং অফিসার। যে অপারেশন হয় তার কমান্ডিং অফিসার ছিল রাশেদ। রাশেদ এবং শাহরিয়ারের নেতৃত্বে সেখানে যায় মাজেদ। মাজেদকে আমরা আনতে পেরেছি। কিন্তু রাশেদকে আনার জন্য বারবার আমেরিকার সঙ্গে আমরা কথা বলছি। এখনো তারা তাকে দিচ্ছে না। তাকে তারা লালন পালন করে রেখে দিচ্ছে এবং নূর কে কানাডায় লালন পালন করে রাখছে ।

তিনি বলেন, রশিদ লিবিয়াতে পড়ে থাকে। মাঝে মাঝে পাকিস্তানে যায়। ডালিমের খোঁজ পাকিস্তানের লাহরে আছে, এইটুকুই জানি। কিন্তু খুব বেশি খবর পাওয়া যাচ্ছে না। মোসলেম উদ্দিন ভারতের আসামের কোনো অঞ্চলে ছিল। বহু চেষ্টা করেছি, তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরা নাম ধাম পাল্টে রয়ে গেছে। তবু চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই কয়জনকে আমরা আনতে পারিনি এখনো। বাকি সব খুনীকে একে একে আমরা নিয়ে এসেছি।সেই রায় আমরা কার্যকর করেছি। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার প্রশ্ন আমাদের মানবাধিকার কোথায়? তার কী জবাব আমরা পাব? যারা খুনিদের লালনপালন করলো, অর্থাৎ যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, খুনী বা কোনো না কোনো জঙ্গী, সন্ত্রাসী তাদের মানবাধিকার নিয়ে এরা ব্যস্ত। বিএনপি এদের মদত দাতা, বিএনপি এদের লালনপালনকারী। কাজেই তাদেরকে তারা লালনপালন করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যারা সোচ্চার হয়, মানবাধিকারের প্রশ্ন আসে। মানবাধিকারের কথা বলা হয়। আমাদের সরকারকে মানবাধিকারের ব্যাপারে প্রশ্ন করে। যারা প্রশ্ন করে তাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, আমাদের মানবাধিকার, ১৫ আগস্ট আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি আমাদের মানবাধিকার কোথায় ছিল? আমাদের তো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। আমি বাবা-মা হারিয়েছি, আমরা মামলা করতেও পারি নাই; বিচার চাইতে পারব না কেন? আমরা এদেশের নাগরিক না?

তিনি আর বলেন, আমি আর আমার ছোট বোন (শেখ রেহানা) বিদেশে ছিলাম বলে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাত থেকে বেঁচে যাই। এই বাঁচা কত যন্ত্রণার, যারা এভাবে বাঁচে, শুধু তারাই জানে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মানবাধিকার যে লঙ্ঘন করা হয়েছিল। ৯৬ সালে যদি সরকারে আসতে না পারতাম। যদি ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করতে না পারতাম এই হত্যার বিচার কোনোদিন হতো না। বার বার বাধা এসেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সি-তাজ২৪.কম/এস.টি

Leave A Reply

Your email address will not be published.