চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ রােববার(১৫ ডিসেম্বর) বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে । সকাল ৯টায় চশমা হিলস্থ মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত করা হয়। এ ছাড়া মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে কাজীর দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেশনাল সেন্টারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
মহিউদ্দিন চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের উ্দ্যােগে গতকাল বাদ আসর কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল হযরত খাজা গরিবুল্লাহ শাহ (র.) মাজার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজনীতির অঙ্গনে তিনি ছিলেন কালোত্তীর্ণ পুরুষ। চট্টল দরদী এ নেতার দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশ পেরিয়ে বিদেশেও। সমাজের প্রতিটি স্তরে তার প্রতিভার আলো ছড়িয়েছে। তিনি চট্টগ্রামবাসীর কাছে আজীবন প্রিয়পাত্র হয়ে থাকবেন।
এ সময় দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন হযরত খাজা গরিবুল্লাহ শাহ (র.) মসজিদের খতিব মাওলানা আনিসুজ্জামান আলকাদেরী।
উল্লেখ্য, ১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর রাউজানের গহিরা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। ১৯৬৫ সালে সিটি কলেজে লেখাপড়ার সময় রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং অংশ নেন পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভূমিকা রাখেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে। সম্মুখসমরে লড়েন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর আহব্বানে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে অবদান রাখেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে এবং দলের অস্তিত্ব ধরে রাখতে নেন জীবনের ঝুঁকি। এজন্য তিনি স্বৈরশাসকের রোষানলে পড়েন এবং বারবার কারারুদ্ধ হন। এছাড়া স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন। বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে কট্টর অবস্থানে থাকেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
১৯৯৪ সালে প্রথমবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। টানা ১৭ বছর চসিকের মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ctaj24.com/st