ফাঁসি দিতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বাঙালি জাতি অতি অল্প সময়ের মধ্যে ছয় দফা দাবি গ্রহণ করে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশ যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা কাটিয়ে অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেসময় বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। এত বড় একটা ঘটনা বাংলাদেশের কেউ জানতে পারল না। এত বড় সংগঠন এত নেতা কেউ দাঁড়াতে সাহস পেল না। কেন এমন হলো তার উত্তর আজও পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিল। এই ব্যর্থতার খেসারত দিতে হয়েছে জাতিকে। কারণ বঙ্গবুন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর এ দেশে বারবার ক্যু হয়েছে।অত্যাচার নির্যাতন চলেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর। সেসময় যদি কেউ সাহস করে দাঁড়াতো তাহলে এত অত্যাচার হতো না, বারবার ক্যু হতো না।
তিনি বলেন, সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধের ভয়াবহতা কাটিয়ে বাংলাদেশকে স্বল্প উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। প্রতিটি কাজের ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন। একটি সংবিধান পর্যন্ত জাতিকে দিয়ে গেছেন।বাংলাদেশকে স্বল্প উন্নত দেশে এনেছিলেন তিনি। যখন দেশকে তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই তাকে হত্যা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: অর্থনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে, নীতি আদর্শিকভাবে যেভাবেই হোক ওই পাকিস্তানের ওপরে থাকবে বাংলাদেশ। বর্তমানে সবার চেয়ে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। এটা ধরে রাখতে হবে।নইলে ওই পাকিপ্রেমী যারা বিদেশেই থাক আর জেলখানাতেই থাক তাদের চক্রান্ত কিন্তু থাকবেই। তবে মুষ্টিমেয় দালাল এই বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, পারবে না বলে জানান তিনি।
আওয়ামী সভাপতি বলেন, ২৫ মার্চ যখন বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আক্রমণ করে তখন বঙ্গবন্ধু ওয়্যারলেসে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এ ঘোষণা পাঠানো হয় সারাদেশে তা পাঠানোর জন্য পিলখানায় তৎকালীন ইপিআরকে বলা হয়। এরপর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে রাজারবাগ থেকে সে ঘোষণা প্রতিটি জেলায় পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম বেতার থেকে অনেককেই এ দায়িত্ব দেয়া হয়। এর মধ্যে কাউকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর অপচেষ্টাও করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
ctaj24.com/st