স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, তাবলীগ জামাতে দ্বিধাবিভক্তি ও মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে যেকোন পরিস্থিতিতে বিশ্ব ইজতেমা হবে। আগামী ১০ তারিখ থেকে ইজতেমায় লাখো মুসল্লির ঢল নামবে। এই ঢল সামাল দেয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেয়া আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে টঙ্গী বাটা রোডে অনুষ্ঠিত ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম অবহিতকরণ ও আইন শৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যকালে একথা বলেন। মন্ত্রী এসময় তাবলীগ জামাতের কল্যাণে নিবিড়ভাবে সময় দেয়ায় স্থানীয় এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং ইজতেমা ময়দান ভরাট ও সমতলকরণসহ ইজতেমার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করায় গাজীপুর সিটি মেয়র অ্যাডভোকেট মো: জাহাঙ্গীর আলমকে ধন্যবাদ জানান।
মন্ত্রী আরো বলেন, সমস্ত অসুবিধা মোকাবেলা করেই ইজতেমা হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা ইজতেমার সব ব্যবস্থা করে দেবেন। আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমা আরো সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে। নিয়মনীতির ভেতর থেকেই ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ইজতেমার পর বিদেশী মেহমানরা সুন্দরভাবে চিল্লায় যেতে পারবেন।
সভায় ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেড শেখ মো: আব্দুল্লাহ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোটে মো: জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় তাবলীগ জামাতের জুবায়ের পন্থী ও সা’দপন্থী প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সা’দপন্থী মাওলানা মুহিবুল্লাহ অপপ্রচার ও উস্কানীমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ইজতেমা একটিই (১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি) এমন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসময় তিনি সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে না গিয়ে সহমর্মিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করার জন্য প্রতিপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ইজতেমায় তাদের প্রস্তুতির অগ্রগতি তুলে ধরেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: আনোয়ার হোসেন সভায় জানান, র্যাবের পৃথক ব্যবস্থা ছাড়াও ইজতেমায় আইনশৃংখলা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আট হাজার পুলিশ তিন সেক্টরে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করবে। পুলিশের ১৪টি ও র্যাবের ১০টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। সেই সাথে পুরো ময়দান ও আশপাশ এলাকা সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ ছাড়াও ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল, এন্ট্রিটেরোরিজম ইউনিটসহ একাধিক স্পেশাল টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ছাড়াও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, গাজীপুর ও ঢাকা জেলা পুলিশ বিশ্ব ইজতেমায় স্ব স্ব এলাকার দায়িত্ব পালন করবে।
ctaj24/st