G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

ভারতকে বিমান ভূপাতিত করার ঘটনা ভুলে না যেতে পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি

0

 

‘পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সন্ত্রাসের উৎসস্থলে আঘাত করার অধিকার রয়েছে ভারতের’- জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরবণের এই মন্তব্য ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও প্ররোচনামূলক বলে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইসলামাবাদ। বালাকোটে ব্যর্থ অভিযানের পর ভারতীয় মিগ বিমান বিধ্বস্ত করা ও পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করার প্রসঙ্গ টেনে ইমরান খান সরকারের পাল্টা হুঁশিয়ারি, ওই ঘটনার কথা ভারত যেন ভুলে না যায়। তা ছাড়া এই ধরনের হামলা হলে পাকিস্তান যে তার যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে।

ভারতের নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে মঙ্গলবার দায়িত্ব নিয়েছেন মনোজ মুকুন্দ নরবনে। ওই দিনই সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত দেয়া বন্ধ না করলে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসের উৎসস্থলে পূর্ব-পরিকল্পিত আঘাত করার অধিকার ভারতের রয়েছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোটে অভিযানই তার প্রমাণ বলেও মন্তব্য করেন জেনারেল নরবণে।

তার পরের দিনই জবাব দিলো পাকিস্তান। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘নিয়ন্ত্রণরেখায় পূর্ব-পরিকল্পিত হামলা সম্পর্কিত ভারতীয় সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যকে খারিজ করছে পাকিস্তান। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে বা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতের দিক থেকে যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে পাকিস্তান যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং প্রস্তুত তা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়। বালাকোটে ভুল অভিযানের পর পাকিস্তান কী জবাব দিয়েছিল, সেটা যেন কেউ ভুলে না যায়।’’

এর সঙ্গেই শান্তির বার্তাও দেয়া হয়েছে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারত যতই উস্কানি দিক, গোটা অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পাকিস্তান কাজ করে যাবে।’’

গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর পর ভারত-পাক সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা বাড়ে। তার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে পাকিস্তানে ঢুকে বালাকোটে অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় বিমান বাহিনী। পর দিন জবাব দেয় পাকিস্তান। এ সময় পাকিস্তান ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি মিগ বিমান বিধ্বস্ত করে ও এর পাইলট অভিনন্দনকে গ্রেফতার করে। পরে পাকিস্তান তাকে মুক্তি দেয়।

তার পর থেকে সীমান্তে উত্তেজনা কিছুটা কমলেও ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর থেকে দু’দেশের সম্পর্কে ফের উত্তেজনা তৈরি হয়। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকেই উপত্যকায় কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি হয়।
বুধবারের ওই বিবৃতিতে সেই প্রসঙ্গ তুলে ইসলামাবাদের বক্তব্য, ‘‘কাশ্মিরে অমানবিক নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে কাশ্মিরের নাগরিকদের প্রতি সমর্থন সব সময়ই থাকবে পাকিস্তানের।’’ আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতায় পাকিস্তানের সমর্থন যে সব সময়ই থাকবে, তাও বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
সূত্র : ডন, আনন্দবাজার পত্রিকা

Leave A Reply

Your email address will not be published.