G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

চট্টগ্রাম লালদীঘিতে শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

0

 

চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর গণহত্যা মামলার রায়ে সোমবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় স্পেশাল জজ মোঃ ইসমাইল হোসেন ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। একই মামলায় তাদের একজনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডও প্রদান করেছেন।

মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন পুলিশের হাবিলদার প্রদীপ বড়ুয়া, কনস্টেবল মমতাজ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান ও শাহ আবদুল্লাহ। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি ইন্সপেক্টর গোপাল চন্দ্র (জেসি) মণ্ডল বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে পুলিশের গুলিতে ২৪ জন হত্যা এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম আদালতে আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে এ রায় ঘোষণা করা হয়। ‘চট্টগ্রাম গণহত্যা’ হিসেবে পরিচিত এ ঘটনার ৩২ বছর পূর্ণ হওয়ার চারদিন আগেই এ রায় দেয়া হল। এর আগে দুপুরে চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন আজ রায় দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ৪ আসামির সাফাই সাক্ষ্য শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। কারাগারে থাকা চার আসামির প্রত্যেকেই পুলিশের সাবেক সদস্য। তারা হলেন; পুলিশের তৎকালীন হাবিলদার প্রদীপ বড়ুয়া, কনস্টেবল মমতাজ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. আব্দুল্লাহ।

এ মামলার অপর ৪ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি চট্টগ্রামের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদা, কনস্টেবল বশির উদ্দিন ও আব্দুস সালাম মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্সপেক্টর গোপাল চন্দ্র (জেসি) মণ্ডল ঘটনার পর থেকে নিরুদ্দেশ। তিনি ছিলেন কোতোয়ালি অঞ্চলের পেট্রোল ইন্সপেক্টর।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি নগরীর লালদীঘি ময়দানে সমাবেশে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালালে ২৪ জন মারা যান। আহত হন দুই শতাধিক মানুষ। এলোপাতাড়ি গুলিতে একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, এথলেবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন কুমার বিশ্বাস, স্বপন চৌধুরী, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ, শাহাদাত, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া ও মো. কাসেম।

৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা বাদি হয়ে ওই মামলা করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলাটি পুণরায় প্রাণ ফিরে পায়। আদালতের আদেশে মামলাটির তদন্তের ভার পড়ে সিআইডির ওপর। সিআইডি ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আদালতে। আবারো আদালতের নির্দেশে অধিকতর তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর পুলিশের আট সদস্যকে আসামি করে দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি।

সি-তাজ24.কম/এস.টি

Leave A Reply

Your email address will not be published.