নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক হত-দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণে ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সাইফুদ্দীন (প্রকাশ) লল্লা মেম্বারের বিরুদ্ধে নয় ছয় করার অভিযোগ ওঠেছে।
সোমবার ( ১জুন ২০) সকালে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন ।
সরেজমিনে গেলে ৪নং ওয়ার্ড তালতলিবাজ গ্রামের হত-দরিদ্র ভুক্তভোগী মিদল,রঞ্জিত, রহিম,দিদার,মো. কাশেমসহ অনেকেই কান্না কন্ঠে অভিযোগ করে বলেন, ৯/১০ টি পরিবারের হাতে ২০১৭ সালে হারুয়ালছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আমাদের দরিদ্র দেখে বিজিএফ ও ১০টাকার সরকারী চাউল কার্ড দেয়। ২বার চাউল পায়, পাওয়ার কিছুদিন পর মেম্বার সাইফুদ্দীন গ্রাম পুলিশ মন্টু দিয়ে কার্ড গুলো নিয়ে যায় আর ফেরৎ দেয়নি এখনও।
অভিযুক্ত আরেকজন সেলিম ভাইভার জানান, তার স্ত্রী নামে ১০টাকা চাউলের একটা কার্ড পান, ২বার চাউল নিয়েছে, কিছুদিন পর মেম্বার উপজেলায় কাজে লাগবে বলে নিয়ে গিলে কার্ড আর ফেরৎ দেয়নি।
মঈন উদ্দীন জানান,সাইফুদ্দীন মেম্বার সরকারি ভাবে ঘর দেয়ার নাম করে ৮০০০টাকা নেন আমার কাছ থেকে প্রায় ১বছর আগে। দীর্ঘদিন পার হলেও ঘর ও টাকা ফেরত না দেওয়ায় টাকা খোঁজলে আমাকে ও তার পরিবারকে মারার হুমকি দেন পরে চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করলে টাকা ফেরত দেয় পরে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, করোনার পরিস্তিতিতেও সরকারী দেয়া ত্রান,ঘর,বিধবা ভাতা,পঙ্গু ভাতাসহ অনেক দুর্নীতি করেছে,এমনকি এই ঈদে প্রধানমন্ত্রীর ২৫০০/- টাকার উপহার যারা পেয়েছে তাদের কাছ থেকে ৫০০টাকা করে (লল্লা মেম্বার) চাঁদা নিয়েছে। আমরা গরীব এই গুলো বললে মেম্বার আমাদের ক্ষতি করবে এসব কথা বলেন।এলাকায় তার প্রভাব বিস্তার বেশি শুনা যাচ্ছে।
তবে অভিযুক্ত মেম্বার মো.সাইফুদ্দীন (লল্লা মেম্বার) টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তিনি সরকারি ঘর ও বিধবা কার্ডের জন্যে কারও কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নেননি। এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট, শত্রুতামুলক একদল প্রচার চালাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে।
অত্র ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরীকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটা অভিযোগ পেয়েছি, আগামী রবিবার ২পক্ষের কথা শুনে আইনি যথাযথতা ব্যবস্থা করব।
সি-তাজ২৪.কম/এস.টি