সীরাতুন্নবী (স.)’র ৩য় দিনের বক্তরা বলেন
মুমিনদের আত্মার চিকিৎসার মাধ্যম হল ১৯দিন ব্যাপী এই সিরাত মাহফিল।
শাহ্ সাহেব কেবলা চুনতী কর্তৃক প্রবর্তিত ১৯ দিনব্যাপী সীরতুন্নবী (স.)’র ৩য় দিনের মাহফিল ৩১ অক্টোবর শনিবার চট্টগ্রাম লোহাগাড়া চুনতীস্থ শাহ্ মনজিল সীরত ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।বাদে আছর ছদরে মাহফিল ছিলেন লোহাগাড়ার দক্ষিণ সুখছড়ি খালেকিয়া ফাজিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা ওয়াহিদ আহমদ।পবিত্র কোরআন শরিফ থেকে তেলাওয়াত করেন সাতকানিয়া আনোয়ারা বেগম হেফজখানার ছাত্র হাফেজ আবু সায়েম মুহাম্মদ সাকিব। নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলাত,বে-নামাজীর বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিবরণ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মুহাম্মদ আলা উদ্দীন। বাদ মাগরিব অধিবেশন আরম্ভ হয় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে। তেলাওয়াত করেন আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার ছাত্র মিছবাহ উদ্দিন আয়মন। বিশেষ ওয়ায়েজী ছিলেন বাঁশখালী এমদাদুল উলুম মনকিরচর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবু বকর।মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন তাওহীদ মোহাম্মদ রিয়াদ, মুহাম্মদ শাহজাহান, মোতোয়াল্লী কমিটি সভাপতি হাফেজুল ইসলাম আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, মুমিনদের আত্মার চিকিৎসার জন্য শাহ সাহেব কেবলা ১৯৭২ সালে ৩দিন-১৯দিন ব্যাপী এই সিরাত মাহফিল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আল্লাহর জিকর আত্মার চিকিৎসার একটি অন্যতম মাধ্যম হলো, যিকরুল্লাহ। এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়ে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, প্রত্যেক বস্তুকেই পরিষ্কার করার যন্ত্র আছে। [আত্মাকে পরিষ্কার করারও যন্ত্র আছে] আর আত্মাকে পরিষ্কার করার যন্ত্র হলো আল্লাহর জিকর। বস্তুত আল্লাহর আজাব থেকে রাকারী হিসাবে জিকরের চেয়ে অধিক প্রভাবশালী আর কোনো বস্তু নেই।
সি-তাজ.কম/এস.টি