G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

বাঁশখালীতে এসইপি’র পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্টিত।

0

মু. মিজান বিন তাহের,বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ

বাঁশখালীতে লবণ প্রক্রিয়াজাতকরন ও ব্যবসায় পরিবেশ বান্ধব ক্ষুদ্র উদ্যোগ জোরদারকরন কর্মসুচীর আওতায় সাসটেইনবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট এসইপি’র পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্টিত হয়েছে। পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যােগে লবন চাষীদের জীবনমান ও পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিবেশ-বান্ধব উপায়ে লবন প্রক্রিয়াজাতকরণ ও লবন ব্যবসা শক্তিশালীকরন উপ প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র উদ্দোক্তা তৈরির লক্ষে পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার পল্লী কর্মসংস্থান ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ এর সার্বিক সহযোগীতায় বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ছনুয়া ইউনিয়নের আব্দুল্লাহর দোকান এলাকায় আইডিয়াল ক্লাবের কার্যালয় অনুষ্টিত হয়।

উক্ত সেমিনারে বাঁশখালী ছনুয়া শাখার প্রায় ২৫ জন প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।

এসময় লবণ উৎপাদনের বর্তমান অবস্থা, লবন উৎপাদনে পরিবেশ দূষনসমুহ চিহ্নিত করন,পলিথিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, লবণ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরন ও ব্যবসায় পরিবেশ ছাড়পত্র এর উপর গুরাত্বারোপ করেন অংশগ্রহনকারীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র বাঁশখালী শেখেরখীল ব্যাঞ্চ ম্যানেজার মুহাম্মদ মহসিন হোসেন।

সেমিনারে এসইপি এর পরিবেশ কর্মকর্তা মিনহাজ হাসান সুমন বলেন, পরিবেশ আবহাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন,
পরিবেশ-বান্ধব উপায়ে লবন প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ব্যবসা উন্নয়নে শক্তিশালীকরন উপ প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র উদ্দোক্তা তৈরির লক্ষে পরিবেশ বিষয়ক প্রভাব ও এসইপি সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।

তিনি আরো বলেন,পদক্ষেপ এসইপি প্রজেক্ট লবণ চাষীদের জীবনমান ও পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৯ সাল থেকে কক্সবাজার জেলায় পরিবেশ বান্ধব উপায়ে লবণ প্রক্রিয়াজাতকরন ও লবণ ব্যবসা শক্তিশালীকরনে ৮৫০ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা নিয়ে কাজ শুরু করে। তারিধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ৩ টি সহ চকরিয়া উপজেলার ৪৩টি গ্রামে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এসইপি প্রকল্পে সচেতনতামুলক কমিউনিটি মিটিং, এ্যাডভোকেসী সভা,পরিবেশ জলবায়ু বিষয়ক প্রশিক্ষণ,লবণ চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও পলিথিন ছাড়া বিকল্প উপায়ে লবণ উৎপাদন প্রকল্প ইতিমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে।

সেমিনারে ছনুয়া এলাকার লবন চাষী রেজাউল করিম জানান,আমি প্রতিবছর ১২ খানি জমিতে লবন চাষ করি। প্রতিখানি জমিতে ৫ হাজার টাকার প্যালিথিন,পানি সেচ ৪ হাজার,মজুরী ৩০ হাজার ও জমির লাগিয়ত ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিখানীতে খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। লবন উৎপাদন হয় খানিতে ৩ শ মণ। আমরা মণ প্রতি বিক্রি করি মাত্র ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। খরচ আর উৎপাদনে তেমন কোন লাভংশ হয় না।
গতবছর ১২ খানি জমিতে ৪ লক্ষ টাকা লোকসান ছিল। বর্তমানে লবন চাষীরা ন্যায্য মূল পাচ্ছে না বলে তিনি জানান।

সেমিনারে পরিবেশে আইনের বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.