G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

বাঁশখালী ছনুয়া-কুতুবদিয়া জেটিঘাট ভেঙ্গে পানিতে , চলাচলে দুর্ভোগ

0

মিজান বিন তাহের,বাঁশখালী প্রতিনিধি :

বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া-কুতুবদিয়া টার্মিনাল জেটিঘাটটি র্দীঘদিন যাবৎ মেরামত না করায় ভেঙে সাগরের পানিতে ভাসছে , দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না করায় মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) হঠাৎ জেটিঘাটটি ভেঙ্গে সাগরের পানিতে তলিয়ে যায়,তবে তেমন কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।

জানা যায়, ছনুয়া টার্মিনাল জেটি হয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ কুতুবদিয়া উপজেলায় যাতায়ত করে। এছাড়াও কুতুবদিয়ার পীরে কামেল হযরত মৌলানা মালেক শাহ (রহ.) এর মাজার জেয়ারত করার জন্য দেশ বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত-আশেক ও মুরিদরা মাজার জিয়ারত করতে আসে এই জেটি দিয়ে। অধিকাংশ মানুষের কুতুবদিয়া যাতায়তের একমাত্র মাধ্যম এই ছনুয়া জেটিঘাট।

অন্যদিকে কুতুবদিয়ার ছনুয়ার অধিকাংশ লবণ ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার প্রতিনিয়ত এই ঘাটই ব্যবহার করে থাকে। কুতুবদিয়া ধুরুম বাজার সিকদার বাড়ির ব্যবসায়ী ছোটন জানান, আমরা সপ্তাহে এক দুই বার চট্টগ্রাম শহরে যাই ব্যবসায়িক কাজে । তবে আমাদের জন্য বাঁশখালী ছনুয়া হয়ে চট্টগ্রাম যাতায়ত সহজ হয় কিন্তু ছনুয়া জেটি পার হতে নানা ভয়। কখন যেন নিচে ভেঙে পড়ি এই ভয় ছিল আমাদের। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় মঙ্গলবারে ঘাট টি ভেঙ্গে তার বাস্তব চিত্র দেখলাম। বর্তমানে কুতুবদিয়া বাঁশখালীর পারাপরের একমাত্র অবলম্বন ছনুয়া জেটিঘাটটি দ্রুত মেরামত এবং সংস্কার করা অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ ঘাট দিয়ে পারাপার করে থাকে, শীঘ্রই এই জেটি ঘাটটি মেরামত করা না হলে যেকোন সময় জোয়ারের পানিতে সম্পর্ণ ঘাটটি সাগরে তলিয়ে যাবে। বর্তমানে মানুষের কস্টের যেন শেষ নেই এই ঘাট দিয়ে।

এদিকে ৩-৪ বছর যাবৎ জেটি ঘাটের রাস্তায় সরকারী জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বেশ কয়েকটি দোকান।

ছনুয়া টার্মিনাল জেটিঘাটের ইজারাদার শমসের শরীফি জানান, বঙ্গোপসাগর বর্ষা মৌসুমে তীব্র জোয়ার ভাটার কারণে জেটি ঘাটটি ব্যবহার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়। অনেক সময় গাছের তক্তাগুলো ভেঙে দুর্ঘটনার শিকার হয় সাধারণ পথচারীরা।

এই জেটিঘাটটির প্রতি বছর সরকারি ভাবে ৪-৫ লক্ষ টাকা টেন্ডার হয়। অথচ পেকুয়া মগনামা ঘাট এবং কুতুবদিয়া বরখোপ ঘাট ও দরবার ঘাট পাকা হওয়ায় চলাচল সহজ হলেও মানুষের যাতায়ত একই। তাদের ওইগুলোর মতো বাঁশখালী ছনুয়া ঘাটটি পাকাভাবে র্নিমাণ করা হলে মানুষ দুঃখ আর দুর্ভোগ হবে না। সহজভাবে পথচারীরা চলাচল করতে পারবে।

তিনি বলেন, অনেক সময় আমরা নিজস্ব অর্থায়নে মেরামত করলেও কিছুদিন পর আবার ভেঙে যায়। মঙ্গলবারে উক্ত ঘাটটি অর্ধেকের চেয়ে বেশী অংশ ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে যায়। তাই সরকারীভাবে এই জেটিঘাটটি পাকা করে দেওয়া হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট অনেক কমে যেত। তিনি আরো জানান, এ ঘাট দিয়ে চলাচলের মতো অবস্থা এখন নেই বললেই চলে। তাই এ ঘাটটি পাকাভাবে র্নিমাণ করার জন্য বাঁশখালীর সাংসদ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ ) চট্টগ্রামের উপপরিচালক নয়ন শীল জানান,মহামারী করোনার কারনে তেমন কোন বাজেট নেই,গত অর্থ বছরের চেয়ে এই বছর বাজেট অর্ধেক। তবু আগামী দুই একদিনের মধ্যে আমাদের ইন্জিনিয়ার যাবেন,পরবর্তীতে দ্রুত সংস্কার করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.