G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

বাঁশখালীতে অবৈধ বালু বাণিজ্যের হোতারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে!

মামলা-জরিমানাতেও থামানো যাচ্ছে না বালুখেকোদের

0

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রভাব খাটিয়ে দিন দুপুরে নদী ও ছড়া থেকে দেদারছে বালু উত্তোলন করছে বালুখেকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা। বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়নের বরুমচড়া ও সাধনপুরের পশ্চিম বৈলগাঁও এলাকার শঙ্খ নদী হতে এবং বৈলছড়ির অভ্যারখীল, চাম্বল ও পুঁইছড়িতে পাহাড়ি ছড়া থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ বালু গুলো প্রতি গাড়ী ১৫শ-১৮শ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। বালুখেকোদের গ্রেফতারে ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকাও জরিমানা করা হয়। কিন্তু প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করার কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারো বালু উত্তোলন করে অস্বাধু বালু ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার পুকুরিয়া, পশ্চিম বৈলগাঁও ও বৈলছড়ি পাহাড়ি এলাকায় সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, শঙ্খ নদীর পুকুরিয়া ও পশ্চিম বৈলগাঁও অংশে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

এ সময় স্থানীয়দের নিকট জিজ্ঞেস করা হলে তারা জানান, পশ্চিম বৈলগাঁও অংশে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে এক যুবক। অপরদিকে পুকুরিয়ার বরুমচড়া এলাকায় শঙ্খ নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট ।

স্থানীয়রা জানান, এই সিন্ডিকেট  এলাকার সাধারণ মানুষের চলাচলকারী রাস্তা ও বেড়িবাঁধ কেটে মাঠির নিচে পাইপ বসিয়ে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। বিগত কিছুদিন আগেও বালু উত্তোলনের দায়ে তার কাছ থেকে জরিমানা আদায় করেন উপজেলা প্রশাসন। শঙ্খ নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড় ভেঙে ফসলি জমি ও বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। একই ভাবে বৈলছড়ির অভ্যারখীল নামক পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একই স্থানে পর পর ৬টি অবৈধ বালু মহাল রয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান, ওই এলাকার বেশ কয়েকজন রাজনিতীক নেতা ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে এই অবৈধ বালু মহাল পরিচালনা করছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন লেবাজধারী রাজনৈতিক নেতাও রয়েছে। এদিকে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের নাপোড়া এলাকায় সরকারি ভাবে চিহ্নিত একটি স্থানে বালু মহাল থাকলেও ওই এলাকায় অবৈধ মহাল রয়েছে বেশ কয়েকটি। যা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিগত দিনে কয়েকবার জরিমানা আদায় করা হলেও আবারো তারা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

পুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আসহাব উদ্দিন বলেন, ‘বালু খেকোরা প্রকাশ্যে শঙ্খ নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। ওই বালু গুলো ডেম্পারের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে তারা। বালু পরিবহনের ফলে গ্রামীন সড়ক গুলো ভেঙে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এমনকি বালু খেকোরা রাস্তা কেটে ড্রেজার মেশিনের পাইপ বসিয়েছেন। আমি প্রশাসনের নিকট বিষয়টি অবহিত করেছি।’

বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন বলেন, ‘অভ্যারখীল পাহাড়ি এলাকায় অসংখ্য অবৈধ বালু মহাল রয়েছে। এই বালু মহাল উচ্ছেদের ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, সরকারী ভাবে  শুধু মাত্র পু্ঁইছুড়ি ইউপির নাপোড়া এলাকার পূর্ব নাপোড়া নির্দিষ্ট একটি স্থানে বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কেউ বালু উত্তোলন করলে তা অবৈধ।  ইতিমধ্যে ‘অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ইতিমধ্যে পুকুরিয়া ও পুঁইছড়িতে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। নতুন ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানা গেছে। শীঘ্রই আবারো অভিযান পরিচালনা করা হবে। বালু খেকোদের কোন অবস্থায় ছাড় দেয়া হবে না।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.