G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

বাঁশখালী পুকুরিয়ায় পোলট্রি খামারের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ,খামারের মালিক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।

0

 

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁশখালী

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সাঙ্গু নদীতে মুরগী ফার্মের বৈর্জ্য ফেলার প্রতিবাদে ঝিনুক পোল্ট্রি ফার্মের মালিক পুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন মদনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসীরা। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বরুমচড়া মোনায়েম শাহ বাজার এলাকায় সকাল ১১ টার দিকে মানববন্ধন পালিত হয়।

এ সময় মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারীরা বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে পুকুরিয়া ইউনিয়নের বরুমচড়া এলাকায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মালিকানাধীন ঝিনুক পোলট্রি নামে একটি পোলট্রি খামার স্থাপন করে। পরবর্তীতে বড় বড় আরো ৪টি খামার স্থাপন করে । এসব খামারে তিন থেকে ছয় লাখ পর্যন্ত মুরগি রয়েছে। এ ছাড়া এই এলাকায় কয়েক শ ছোট খামার গড়ে উঠেছে স্থানীয়দের উদ্যোগে।

smart

মানববন্ধনে পুকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. সেলিম আক্তার ও ইউপি সদস্য মোঃ মুজিবুল হক জানান, পুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন এলাকার বিশাল পাহাড় দখল করে ঝিনুক পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে তোলে। ওই ফার্মের বৈর্জ্য থেকে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। বড় খামারগুলোর মুরগির বিষ্ঠা মাছের খাবার হিসেবে বিক্রি হয়। আবার অনেক সময় খামারের ভেতরেই রয়ে যায় এসব বিষ্ঠা। দুর্গন্ধে আশপাশের মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এসব খামারের আশপাশের রাস্তায় চলতে হয় দুর্গন্ধের মধ্য দিয়ে। মুরগির বিষ্ঠা ট্রাকে করে মোনায়েম শাহ সড়ক দিয়ে নেওয়ার সময় গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। রাস্তা খারাপ হওয়ায় ঝাঁকুনিতে ট্রাক থেকে বিষ্ঠা পড়ে যায়। ফলে ওই সব সড়কেও দুর্গন্ধের মধ্য দিয়ে চলতে হয় সাধারণ মানুষকে।অপরদিকে সাঙ্গু নদীতে ফেলা হচ্ছে ওই ফার্মের বৈর্জ্য। যার ফলে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে।

smart

তারা আরো জানান,পোলট্রি বর্জ্যের কণা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ঢুকে ফুসফুসের রোগের কারণ হতে পারে। এর থেকে শ্বাসকষ্ট এবং হার্টের ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এসব খামার সংলগ্ন এলাকার মানুষেরা সব সময় স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে থাকে।

তাই পরিবেশ ও নদী দূষণ রোধে চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন মানববন্ধন কারী এলাকাবাসীরা।

এদিকে ঝিনুক পোলট্রি ফার্মের মালিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দীন জানান, আমি যে ভাবে খামার গড়েছি তাতে করো কোন ক্ষতি হয় না। মুরগির বিষ্ঠা মাছে খেয়ে ফেলে এবং গরুর বিষ্ঠায় পানিতে অক্সিজেন তৈরি হয় এবং তাতে মাছের পুষ্টি হয়। আমার কারনে ফর্মে অনেক বেকার লোকের কর্ম সংস্থান হয়েছে। আমি খামার তো দীর্ঘদিন থেকে চালাচ্ছি দুর্গন্ধ তো আজকে নতুন ছড়াচ্ছ না, বর্তমানে আমি বরুমচড়া এলাকায় সাঙ্গু নদী থেকে অবৈধ বালু এবং ব্রীক ফিল্ড নির্মান কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় আমার সাথে কয়েকজন ইউপি সদস্যর দন্ধের রুপ নেন। তারাই এখন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বর্জের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.