G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে কুমিরাঘোনা আখতরাবাদে বায়তুশ শরফের ইছালে সাওয়াব মাহফিল সম্পন্ন।

0

 

বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ কর্তৃক দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া কুমিরাঘোনা আখতরাবাদে আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক ইছালে সাওয়াব মাহফিল দেশ, জাতি, মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে বায়তুশ শরফের পীর আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী ম.জি.আ এর হৃদয় স্পর্শী দীর্ঘ বিশেষ আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারী বিকেল সাড়ে চারটায় সমাপ্ত হয়।
এসময় কুমিরাঘোনা আখতরাবাদ ময়দান থেকে ভেসে আসা লাখো লাখো মুসল্লির কান্নাজড়িত কন্ঠে আমিন, আমিন ধ্বনি আশেপাশের পরিবেশকে ভারী করে তোলে।

স্মরণকালের মধ্যে সর্ববৃহৎ এই বৎসরের আখেরী মোনাজাতে মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীসহ বিপুল সংখ্যক সরকারি ও বেসরকারী পদস্থ কর্মকর্তা,পীর- মাশায়েখ, আলেম-ওলামা, বুদ্ধিজীবি, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করেন। মাহফিলের বিশাল প্যান্ডেলে তিলধারণের ঠাঁই ছিলোনা। ফলে অসংখ্য মুসল্লিকে আশেপাশের বাড়ি ঘরের আঙিনায়, রাস্তার ধারে বসে পড়ে মোনাজাতে অংশ নিতে হয়।
মোনাজাতের পূর্বে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্দেশ্যে তাকরীর পেশ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্তা আল্লামা সাইয়েদ ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী জৈনপুরী।
৪, ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত তিনদিনব্যাপী মাহফিলে বিশেষায়িত ওলামা-মাশায়েখদের তাকরির ছাড়াও তরিকতের প্রশিক্ষণ এবং জিকির আজকার অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতি বছর চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মাহফিল হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান থেকে বাস, ট্রাক, মাইক্রো, কার, পাজেরো জীপে করে লোকজন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তিনদিনব্যাপী ইছালে সাওয়াব মাহফিলে অংশগ্রহণ করে থাকেন। মাহফিলের আশপাশ এলাকায় তাবু টাঙ্গিয়ে ভক্তানুরাগী অতিথিবৃন্দরা অবস্থান করেন।

উল্লেখ্য, বড়পীর গাউছুল আযম হযরত মহিউদ্দন আবদুল কাদের জিলানী (রা:) এর স্মরণে বায়তুশ শরফের প্রাণপুরুষ কুতুবুল আলম শাহসুফী হযরত মাওলানা মীর মোহাম্মদ আখতর (রাহঃ) প্রায় সাত দশক পূর্বে কুমিরাঘোনায় এই মাহফিলের প্রবর্তন করেন। ১৯৭১ সালে তাঁর ইন্তেকালের পর বায়তুশ শরফের প্রধান রূপকার হাদিয়ে যামান শাহ্সুফী মাওলানা আবদুল জব্বার (রাহ:) এর হাতে এই ইছালে সাওয়াব মাহফিলের সুমাম-সুখ্যাতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৯৮ সালে ইন্তেকালের পর তাঁর ছায়াসাথী বাহারুল উলুম, বায়তুশ শরফের মরহুম পীর সাহেব শাহসুফি মাওলানা মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (রাহ:) এর তত্বাবধানে মাহফিলটি পরিচালিত হয়। ২০২০ সালে তাঁর ইন্তেকালের পর বায়তুশ শরফের বর্তমান রাহবার, বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক, লেখক আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী ম.জি.আ এর পরিচালনায় এইবারের মাহফিলটি সুসম্পন্ন হয়।

সি-তাজ২৪.কম/এস.টি

Leave A Reply

Your email address will not be published.