কক্সবাজার প্রতিনিধি: ১৩ ফেব্রুয়ারী বিকেল তিনটায় কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার খরস্রোতা মাতামুহুরি নদী বিধৌত পূর্ব ভেওলা সিকদার পাড়া জয়নাল আবেদিন মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা, সিকদার পাড়া ছলিমুল উলুম এতিমখানা ও হেফজখানা ও হযরত খাদিজাতুল কুবরা (রা:) বালিকা মাদ্রাসার সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি বিশিষ্ট গবেষক, লেখক বায়তুশ শরফের পীর আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী (ম.জি.আ) বলেন, সাধারণ শিক্ষায় অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক, আন্তর্জাতিক নীতি, প্রকৌশলী, ডাক্তারিসহ বিভিন্ন শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে পার্থিব ধনসম্পদ অর্জনের যোগ্যতা সৃষ্টি হয় বটে, কিন্তু আত্মশুদ্ধ মানুষ গড়া সম্ভব হয় না। বর্তমান ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার কারিকুলামও শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হচ্ছেন। সে জন্য ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার সংস্কার পূর্বক সমন্বয় প্রয়োজন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে তাদের মধ্য থেকেই বেরিয়ে আসবেন আত্মশুদ্ধ খাঁটি মানুষ এবং তাদের দ্বারাই সম্ভব হবে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া।
পীর সাহেব বায়তুশ শরফ বলেন, ইসলাম এতিম প্রতিপালন, তার সঙ্গে উত্তম আচরণ, তার সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, তাকে সঠিকভাবে শিক্ষাদান ও উপযুক্ত বয়সে তার কাছে সম্পদ প্রত্যর্পণের উপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে এবং তাদের প্রতি কঠোর আচরণ নিষিদ্ধ করেছে। ইসলামে ধর্মীয় ও পার্থিব শিক্ষা লাভ করার জন্য নারীকে শুধু অনুমতিই দেওয়া হয়নি; বরং পুরুষের শিক্ষা-দীক্ষা যেমন প্রয়োজন মনে করা হয়েছে, নারীদের শিক্ষা-দীক্ষাও তদ্রূপ প্রয়োজন মনে করা হয়েছে। আলোকিত জাতি গঠনে উপরোক্ত তিন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, বারবার শ্রেষ্ঠ সমাজসেবক পদকে ভূষিত জনাব হাফেজ মোহাম্মদ আমান উল্লাহর প্রশংসা করে পীর সাহেব বায়তুশ শরফ বলেন, নিবেদিতপ্রাণ এই সমাজ কর্মী শিক্ষার উন্নয়নে অনগ্রসর জাতিকে আলোকিত করতে তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এতিম দরদি এই মানুষটি হাজার হাজার এতিম অনাথ ছেলে মেয়েকে হাফেজ বানিয়ে এবং মাদ্রাসার পাশাপাশি সাধারন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
প্রতিষ্ঠান তিনটির প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মোহাম্মদ আমান উল্লাহর সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক নইম কাদেরের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর সহ সভাপতি অধ্যাপক শফিউর রহমান, অধ্যাপক শাব্বির আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুপার মাওলানা মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বায়তুশ শরফের পীর আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী চকরিয়ার গ্রামীণ জনপদ পূর্ব ভেওলায় মনোরম পরিবেশে বিরাট ক্যাম্পাসজুড়ে প্রতিষ্ঠিত উপরোক্ত তিনটি প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখে শিক্ষার পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীদের আবাসন সুযোগ সুবিধা দেখে মুগ্ধ হন।
সি-তাজ২৪.কম/এস.টি