জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে ৫৫ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নবনির্বাচিত মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) শাব্বির ইকবাল।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়িয়ে দিয়ে তাদের অধিকতর সম্মানিত করেছেন। আজকে জেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধিত করায় আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আনন্দিত ও উদ্বেলিত। যেটি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের করার কথা সেই কাজটি এম এ সালামের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ করেছে।
পৃথিবীর বুকে ৭ই মার্চের ভাষণকে শ্রেষ্ঠ ভাষণ উল্লেখ করে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বলেন, ওই ভাষণের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ১৯ মিনিটের ভাষণে সবকিছু বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না।
মুক্তিযুদ্ধের স্থানগুলো মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে সংরক্ষণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্থানগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি। এতে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্ক জানতে পারবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান উল্লেখ করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, অনেকেই মন্ত্রী হন, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সবচেয়ে বড় নেতা। তার ২৩ বছরের অগ্নিঝরা সংগ্রামের ফসল ৭ই মার্চের ভাষণে প্রতিফলিত হয়েছে। আমি জেলা পরিষদের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
জেলা পরিষদের সচিব মো. রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক গণপরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা আবু মনসুর, যুদ্ধকালীন বিএলএফ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দিন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক চৌধুরী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস।
সি-তাজ২৪.কম/এস.টি