শিক্ষক মিলন চক্রবর্ত্তী ছিলেন একজন আর্শবান শিক্ষক। যিনি ছিলেন একাধারে সাংস্কৃতিকমনা, যার আর্দশতায় সবাইকে মুগ্ধ করতো।
যিনি ছিলেন একজন সফল মানুষ গড়ার কারিগর।
দির্ঘ্য দিন কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের(বর্তমানে সরকারি) সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেছেন। দায়ীত্ব ও কর্তব্য পরায়ন হওয়ার কারনে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মদক্ষতা আর যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে সিনিয়র শিক্ষক থেকে তাঁকে প্রধান শিক্ষকের দায়ীত্ব অর্পন করা হয়।
শিক্ষকতার বাইরে ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক। বহু সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সহিত ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।
তিনি জন্মেছিলেন বোয়ালখালীর থানার ঐতিহ্যবাহী কধুরখীল গ্রামে। ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৬১ সালে মেট্রিকুলেশন পাশ করে স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ হতে ১৯৬৬ সালে বি. এস. সি পাশ করেন। পরে নিজ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন এবং ওখান থেকেই অবসর গ্রহণ করেন। বোয়ালখালী থানার এমন কোনো গ্রাম ও ঘর নেই যে তাঁর শিক্ষার্থী নেই, এবং সেই সব শিক্ষার্থীরা আজ দেশে ও বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত।
শুধু নিজ কর্মে সফল নয় একজন পিতা হিসেবে সফল তিনি। তাঁর এক ছেলে , এক মেয়ে। ছেলে পিএইচডি করছেন আমেরিকার নিউজার্সিতে আর মেয়ে ও শিশুদের বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করে আমেরিকার নিউজার্সিতে কর্মরত রয়েছেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি অনেক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিয়ে সংগঠক হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বোয়ালখালী উপজেলা ক্রীড়া সমিতির সভাপতি ছিলেন। সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচি শিল্পীগোষ্ঠী বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কধুরখীল গ্রামের শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান কধুরখীল কো – অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতির দায়িত্ব সুনামের ও দক্ষতার সাথে পালন করেছেন। কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সভাপতির গুরু দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন। সফলতার সাথে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন কধুরখীল জলিল আম্বীয়া কলেজের পরিচালনা পর্ষদের। তাঁর দির্ঘায়ু কামনা করি।
সি-তাজ. কম