নগরীর খুলশী এলাকায় এক ভবনে আশ্রয় নেওয়া তাবলীগ জামাতের ২১ অনুসারী ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ না মেনে বাইরে ঘোরাঘুরি ও দাওয়াতি কার্যক্রম চালানোয় পুরো ভবনটি ‘লকড ডাউন’ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
তাবলীগ জামাতের এ অনুসারীরা গ্রামে ফিরতে না পেরে ভবনটিতে আশ্রয় নিয়েছিল।
পাশাপাশি তাদের ‘দায়িত্ব’ নিয়ে থাকতে দেওয়া ওই বাড়ির মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। বিডিনিউজ
আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত চারতলা ভবনে বসবাসকারী সবাইকে ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ অনুসরণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবনে বসবাসকারী ১৬টি পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন সহায়তা করবে।
লকডডাউন করা এ বাড়িটি হলো নগরীর পশ্চিম খুলশী বিএডিসি গেইট সংলগ্ন ৩ নম্বর রোডের ৬৬৬/এ নম্বর মোহাম্মদী হাউজ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল আজ সোমবার (৬ এপ্রিল) বলেন, ‘শেরপুর থেকে তাবলীগ জামাতের ২১ সদস্য চট্টগ্রামে আসেন। করোনাভাইরাস সংকটে সাধারণ ছুটি শুরু হলে বাড়ি যাওয়ার জন্য বাস না পেয়ে তারা চট্টগ্রামে থেকে যান বলে জানিয়েছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে ২৬ মার্চ থেকে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়। তাবলীগের মুরুব্বি স্থানীয় বাসিন্দা আতিকুর রহমান তাদের দায়িত্ব নেন। তিনি ওই ভবনের মালিকের ছেলে। ভবনের নিচতলায় দুই কক্ষের একটি ইবাদতখানা আছে। সেখানেই ওই ২১ জন থাকছেন।‘
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হোম কোয়ারেন্টিন না মেনে তারা বাড়ির বাইরে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। খুলশী এলাকার কয়েকটি মসজিদে তারা নামাজ পড়তে যান। সেখানে দাওয়াতি কার্যক্রমও পরিচালনা করেন। এসব বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন। তাদের বাইরে যাওয়ার এবং ঘোরাফেরার ভিডিও ও ছবি আমরা পাই। পরে তা যাচাই করে সত্যতা পেয়েছি। আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অবস্থান নেওয়ার পরেও তাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রমাণ পেয়েছি। এ কারণে আজ গিয়ে ভবনটি লকড ডাউন করা হয়েছে।‘
ওই ভবনের অন্য বাসিন্দাদেরও হোম কোয়ারেন্টিন মানতে বলা হয়েছে জানিয়ে তৌহিদুল বলেন, ‘তাবলীগের ২১ সদস্যসহ এ ভবনে অবস্থানকারী সবাইকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ভবন থেকে বের না হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।’
সেখানে বসবাসকারীদের কারও কোনো জরুরি প্রয়োজন হলে খুলশী থানা ও জেলা প্রশাসন সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।