নিজস্ব প্রতিনিধি : ১৯ শে আগস্ট শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গির এর স্মরণে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে লন্ডন হতে ফোরামের চেয়ারম্যান বারিস্টার মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এর উপর তথ্য মূলক বক্তব্য উপস্থাপন ও সভা পরিচালন করেন, মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিন। ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন ভার্চুয়াল মিটিং’এ বলেন, শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গির ছিলেন চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান। তিনি ছিলেন একজন নিবেদীত সমাজ কর্মী। তার অবদানের কথা চট্টগ্রামবাসীর মধ্যে রয়ে যাবে। তিনি মৃত্যুর আক পর্যন্ত বিশেষ ভূমিকায় সমাজকল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতিত্ব দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তার মৃত্যুতে চট্টগ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ফোরামের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আজ চট্টগ্রাম একজন সমাজ কর্মীকে হারিয়েছে, আজ তাঁর ভালো কাজ ও চট্টগ্রামের উন্নয়নের প্রতি তার বিশেষ অবদানের মাধ্যমে আমরা তাঁকে স্মরণ করছি।
সাবেক এমপি চাকসুর সাবেক ভিপি মাজাহারুল হক শাহ চৌধুরী বলেন, আমি ব্যারিস্টার মনোয়ারের পরে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির মহাসচিব থাকাকালিন শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সাথে কাজ করেছি। তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়নের বিষয় আপোষহীন ছিলেন।
চাকসুর সাবেক জিএস জমির চৌং বলেন, শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর একজন পরিপূর্ণ ভালো মানুষ ছিলেন। অন্যদিকে অসমপ্রদায়িক ব্যক্তি হিসেবে সর্বস্থরের মানুষের জন্য কাজ করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর নুরুল কবির চৌং বলেন, শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে আমি খুব কাছ থেকে পেয়েছি। তিনি যেমন উন্নয়ন ও সমাজ কর্মে লিপ্ত ছিলেন তেমনি একজন প্রতিবাদী লেখক ছিলেন।
কবি শেখ খোরশেদ আনোয়ার বলেন, শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আমার বড় ভাই তাকে নিয়ে আমাদের পুরো পরিবার তথা আত্মীয়স্বজন গর্ভবোধ করতেন। তিনি মনে প্রাণে ভালো মানুষ ছিলেন।
শেখ শহিদ আনোয়ার বলেন, শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আমার বড় ভাই হলেও অন্যায়ের ক্ষেত্রে কোন সময় আপোষ করেননি। তিনি ইচ্ছা করলে রাজনীতির মাধ্যমে অনেক সুযোগ সুবিধা আদায় করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা কখনো করেননি।
পরিবারের পক্ষে শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের এক ছেলে ও মেয়েরা বলেন, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই করোনার করুন সময়ে আমাদের বাবার জন্য ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করেছেন। আমাদের বাবা ভালো কর্মগুলো তুলে ধরেছেন। আমরা আশাকরব আগামীতে আরও বড় আকারে সভার মাধ্যমে আমাদের বাবাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবেন।
ভার্চুয়াল সভায় অংশগ্রহণকৃত অন্যান্যরা বলেন, সবাই তাকে চিনতেন, তার ভালো দিক সম্পর্কে জানতেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সমাজ তথা চট্টগ্রামের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি একজন শহিদ পরিবার এর গর্ভীত সন্তান ছিলেন। শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গিরের কাছে সবাই ছিলেন সমান, মানব সেবায় তিনি ছিলেন নিবেদিত। ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন, আকরাম হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ সাইফুদ্দীন খালেদ রানা, ছামস মো: জিয়াউল হক, ইমতিয়াজ আহমেদ, শেখ রৌশন জাহান মুক্তা, শেখ নুসরাত জাহান, তসলিম খাঁ, কানিজ ফাতেমা, লাভলী ডিও, মো: আলী প্রমুখ।
সি-তাজ২৪.কম/এস.টি