মু.মিজান বিন তাহের,বাঁশখালী: শীতকালীন শাকসবজিতে ভরে গেছে বাঁশখালী উপজেলার হাট বাজার গুলো। তাছাড়া এখানকার উৎপাদিত নানা ধরনের সবজি প্রতিদিন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হচ্ছে। চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানের পাইকারী ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন বাঁশখালীর বিভিন্ন বাজার থেকে এসব সবজি ক্রয় করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারী দরে বিক্রি করছে। শীত এলেও সবজির বাজার এখনো শীতল হয়নি। বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করলেও দাম কমেনি। বেশিরভাগ সবজিই এখনো কিনতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বাঁশখালীর পুকুরিয়া চৌমুহনী, মোনায়েম শাহ বাজার, বানীগ্রাম বাজার, গুনাগারি চৌমুহনী, রামদাশ মুন্সির হাট, মোশারফ আলী হাট,বশিরউল্লাহ মিয়াজীর হাট, কাথরিয়া বাজার, চুনতি, সরল বাজার, বৈলছড়ি কেবি বাজার, হাবিবের দোকান, জলদী মিয়ার বাজার, হারুন বাজার, উপজেলা সদর, টাইম বাজার, জালিয়াখালী নতুন ও পুরাতন বাজার, গন্ডামারা বাজার, সকাল বাজার, বেয়ান বাজার, বাংলা বাজার, চাম্বল বাজার, শেখেরখীল সরকার বাজার,ফাঁরির মুখ, মৌলভী বাজার, ছনুয়া মনু মিয়াজীর বাজার, পুঁইছুড়ি সরলিয়া বাজার, প্রেম বাজার ও নাপোড়া বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। বর্তমানে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, টমেটো, মূলা, লাল শাক, পুঁই শাক, বরবটি, শিম, ফরাস শিম, লাউ, তীত করলা, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের সবজি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি ফুলকপি ৬০ থেকে ৮০ টাকা,বাঁধা কপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা-ধুন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ও ঢেঁডস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, প্রতিকেজি ধনিয়া পাতা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, সীম ৭০ থেকে ৮০ টাকা,মুলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা জানান, বাজারে বছরের সব সময়ই সবজির সরবরাহ থাকে। তবে সে তুলনায় দাম কমে না। এর মধ্যে শীতের সবজি বাজারে এলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতের সবজি এলেও তা পর্যাপ্ত না। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে। শীতের সবজি হিসেবে খ্যাত গাজরের দাম কিছুটা কমলেও চলতি সপ্তাহে আবার বেড়েছে। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজরের দাম বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা হয়েছে। শীলকূপ এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ মোমিন, নাপোড়া এলাকার মিনহাজ , আজগর , শহেদ, মোঃ ইউছুফ, করিম সহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বিগত কয়দিন আগে শাকসবজির দাম, কিছুটা বেশী থাকলেও বর্তমানে প্রচুর পরিমাণ পাওয়া যাওয়ায় তা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে। আর কিছুদিন পর অধিকাংশ শাকসবজি ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। তবে আগেবাগে যেসব চাষীরা উপরোক্ত শাকসবজি উৎপাদন করেছে তারা প্রচুর পরিমাণ লাভবান হয়েছে। বিক্রেতারা জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অপ্রতুল থাকায় গাজর ও শসার দাম বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লেই দাম কমবে গাজর ও শসার। সরবরাহ কম থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শাক। বাজারে প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, পালং শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, করমু শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা, মুলা ১২ থেকে ১৫ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। এদিকে দাম কমেছে শসা, কাঁচা মরিচ ও বাঁধা কপির। প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা । গত সপ্তাহে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হয়েছিলো ৫০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, প্রতি কেজি ফুলকপি ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
এদিকে বাঁশখালীতে উৎপাদিত সবজি বাঁশখালীর চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানিসহ বাঁশখালীবাসী কমমূল্যে শীতকালীন সবজি ভোগ করতে পারবে বলে সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা করলেও অতিরক্ত দাম হওয়ায় সাধারন মানুষের কষ্টের যেন শেষ নাই।
সি-তাজ.কম/মিজান