বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন ও বক্ষপিঞ্জরে লালিত স্বপ্ন হলো স্বাধীনতা। প্রায় দুই যুগ রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যে বাঙালি জাতি অর্জন করে তার স্বাধীনতা কিন্তু প্রশ্ন হলো জাতি এই স্বাধীনতার চেতনা কোথায় পেল? বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনি দীর্ঘ ২৩ বছর শত শত নির্যাতন অত্যাচার ও অসংখ্যবার কারাবরণ করেছেন ও সহ্য করেছেন। তিনি তাঁর দৃঢ় মনোবল ও অকৃত্রিম নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তির সংগ্রাম পরিচালিত করেন এবং নিশ্চিত করে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা। এই জাতীয়তাবাদের এক মহাকাব্যের মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু। জাতীয়তাবোধের চেতনাকে লালন করে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি আজ স্বাধীনতার ৫০ বছররেও। এর কারণ কিছু স্বদেশ বিরোধী কুচক্রী মহলের কর্মকাণ্ড ও সুশাসনের অভাব তা আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ও সোনার বাংলা গড়ার বড় ধরনের বাধা। আজ যতটুকু এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ততটুকু এগোতে পারিনি ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে। যা আমাদের জন্য জাতীয় উন্নয়নের পথ আটকে পড়েছে। দূরে সরে গেছে অনেকখানি মূল লক্ষ্য থেকে। আর মুছে ফেলতে চেয়েছিল জাতির জনকের নাম শেষ পর্যন্ত তা পারেনি। কিন্তু দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গকন্যার ক্ষমতায়নে পরিবর্তন দেখা গেছে আজকের প্রজন্মের মাঝেও। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্য বই থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতার চেতনা ও জাতির প্রেরণার বাহক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেন। যা আজ দেশের মানুষকে ও নতুন প্রজন্মের মধ্যে স্বাধীনতা ও নেতৃত্বের চেতনাকে প্রভাবিত করে এবং জাতিকে মহান মানুষটিকে স্মরণ করিয়ে দে। তরুণ প্রজন্ম আজ সোচ্চার কণ্ঠে বলে স্মৃতিতে তুমি বহমান প্রিয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতৃত্ব ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের সকল কর্মকান্ড নির্দেশ করে নির্যাতিত বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার। এই লক্ষ্যে তিনি ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ ও ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হন। এবং তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ছিলেন ভাষা আন্দোলনের কারাবন্দীদের অন্যতম বন্দী। সংসদ, রাজপথ ও বাংলার সংস্কৃতির পক্ষে তার কন্ঠ ছিল সোচ্চার। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলন ১৯৬৬ সালে ৬ দফা কর্মসূচি পেশ করেন। এর ভিত্তিতে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে নজিরবিহীন বিজয় ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। তিনি অন ১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলন ও ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা ভূমিকা পালন করেন ও যোগ্য নেতৃত্বের অপ্রতিদ্বন্দ্বি নতুন মাইলফলক প্রমাণ করেন। তৎকালীন পাকিস্তানের সরকারের বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য সাড়ে সাত কোটি মানুষের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাই আজ পর্যন্ত ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে আমরা পালন করে আসছি। এটি ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি একটি প্রজ্ঞাপনে ২৬ শে মার্চকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন এবং সরকারি ছুটি করা হয়। এই স্বাধীনতা অর্জনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন-” কোন জেল জুলুম কোনদিন আমাকে টালাতে পারেনি, কিন্তু মানুষের ভালোবাসা আমাকে বিব্রত করে তুলেছে
লেখক: সভাপতি খুটাখালী ব্লাড কল্যাণ সোসাইটি
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.