G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

বোয়ালখালীর সেই গরীব ঘরের ছেলে শিক্ষক বিমল চক্রবর্ত্তী

0

 

প্রভাস চক্রবর্ত্তী,বোয়ালখালী: একসময় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পড়ানোর নিয়মটা ছিল ছন্দ দিয়ে।তেমনি একজন শিক্ষক ছিলেন বোয়ালখালীর হত দরিদ্র ঘরে ছেলে বিমল চক্রবর্ত্তী, যার পড়াশোনার নিয়মটা ছিলো চন্দ দিয়ে ট্রাসলেশন করাত এভাবে

ক্রিয়ার শেষে যদি থাকে ই,অ,এ অনুবাদ কর শুধু কর্তা, ক্রিয়া দিয়ে , নাম পুরুষের একবচনে ক্রিয়ায় sবা es হয়,এই কথা চিরদিন মনে যেন রয়।

Do – ব্যবহার লিখেছেন এভাবে অভাগা Do এর কথা বলিওনা আর প্রশ্নবোধক, না, বোধক বাক্য তার ব্যবহার।

The এর ব্যবহার লিখেছেন এভাবে – টি,টাকা খানি,খানা, গুলো গননা যদি হয়,ইংরেজিতে তাদের আগে The বসাতে হয়। নদী জাহাজ দ্বীপ পুঞ্জ, পর্বতের শ্রেনী যত রকম সাগর আছে তাদেরকে গনি।
পবিত্র ধর্ম গ্রহন্ত,দিক,নাম বুঝাইলে তাদের আগে The কে বসাবে। যুক্ত রাজ্য যুক্তরাষ্ট্র,পাঞ্জাব,দাক্ষিণাত্য হলে
Theকে অবশ্যই তাদের আগে বসাবে।

উনার অসংখ্য লেখার মধ্য সামান্যতম তুলেধরলাম।তিনি জীবনে সরকারী ভালো, ভালো চাকরি পেয়েও করেননি।একমাত্র শিক্ষকতা ছাড়া।শিক্ষকতাকে মহৎ পেসা হিসেবে গ্রহন করেছিলেন।কোনদিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।

তিনি বিভিন্ন জায়গায শিক্ষতা করেছিলেন তিনি রতনপুর, কলাউজান, কধুরখীল, উচ্চ বিদ্যালয়,এবং জীবনের সর্ব্বশেষ চট্টগ্রাম ক্যান্টম্যান উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেছেন।

তিনি অতিন্ত গরীব ঘরে জন্ম গ্রহন করেছিলেন। শিক্ষক ও পন্ডিত নগেন্দ্র লাল চক্রবর্ত্তীর ৩ কন্যা ও ৩ পুত্রের মধ্যে বিমল চক্রবর্ত্তী ছিলেন ১ম সন্তান।শুধু বোয়ালখালীর মধ্যে তার নাম সীমাবদ্ধনয়।চারিদিকে শিক্ষকতার সুনাম রযেছে।তিনি বিলাসীতা পছন্দ করতেননা।

১৯৯১ সালে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ জনিত কারণে চট্টগ্রাম সম্মেলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।আজ শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি।

একজন সফল মানুষের পিছনে শিক্ষকের যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। সেই শিক্ষক যে পড়াশোনার ক্ষেত্রেই হতে হবে, তা নয়। তিনি থাকতে পারেন জীবনের যে কোনও ক্ষেত্রেই। তিনি যে পড়ুয়াকে শেখাবেন , তাই নয়। তিনি তাকে জীবনে চলার পথে পরামর্শ দেবেন, ব্যর্থতায় পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেবেন, সাফল্যের দিনে নতুন লক্ষ্য স্থির করে দেবেন। তিনি তাকে শুধু সফল নয়, একজন ভাল মানুষ হতে শেখাবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই একজন শিক্ষার্থীকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে তৈরি করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয় শিক্ষককে। শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের কাছে বাবা-মায়ের মতো। বাবা-মা যেমন তাদের ভালোবাসা-স্নেহ-মমতা দিয়ে সন্তানদের বড় করেন, ঠিক তেমনি শিক্ষকেরা শিক্ষার আলো দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যান। এর সাথে থাকে স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা। তাঁদের শিক্ষার আলো যেমনি শিক্ষার্থীদের সামনের পথ চলাকে সুদৃঢ় করে, তেমনি তাদের স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে।

সি-তাজ২৪.কম/এস.টি

Leave A Reply

Your email address will not be published.