নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাঁশখালী
বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মনকিচর ইসলামিয়া এমদাদুল উলুম বড় মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক সহ ৩ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (৯ মে) সন্ধা ৫ টা ৪০ মিনিটের দিকে মনকিচর বড় মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি দোকানে ইফতার সামগ্রী ক্রয় করতে গেলে এই সন্ত্রাসী ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শীলকূপ ইউনিয়নের মনকিচর ইসলামীয়া এমদাদুল উলুম কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে স্থানীয় সুন্নী মতাদর্শের কয়েকজন অনুসারী যুবকের সাথে ৮-৯ মাস পূর্বে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনাটি সালিশী বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সমাধান হয়। কয়েকমাস পূর্বে এই মীমাংসিত ঘটনাটিকে সুন্নী মতাদর্শী ক্ষতিপয় স্থানীয় যুবক এলাকায় বিভিন্ন জনসমাগমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপত্তিকর লেখালেখির করেন। এ নিয়ে পুনরায় ২ মতাদর্শীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। রবিবার ৯ মে সন্ধায় মাদ্রাসার পাশ্বর্বতী দোকানে মাও. ওবাইদুর রহমান (৩০) ইফতার সামগ্রী ক্রয় করতে গেলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা লাঠি ও দা কিরিচ দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তার শোরচিৎকারে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক হাফেজ আনিছুর রহমান (৩৫) ও তার অপর বড় ভাই আতিকুর রহমান (৩৮) এগিয়ে এলে তাদের উপরও সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা আহত ৩ ভাইকে উদ্ধার করে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহতরা শীলকূপ মনকিচর ইসলামিয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক আল্লামা শাহ আবু বক্করের পুত্র।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ তানজিলা আফরিন জানান, শীলকূপ মনকিচরে মারামারির ঘটনায় একজনের অবস্থা গুরুতর। অন্যদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
অাহত মাওলানা আতিকুর রহমান বলেন, স্থানীয় সুন্নী মতাদর্শের জিয়াউল হক, শাহাদাত, বোরহান ও সাখাওয়াত আমাদের কওমী মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন যাবৎ আমাদের পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত। তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। বেশ কিছু দিন পূর্বে ও আমার পিতার উপর ও তারা হামলা করেছিল তারা ।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিউল কবীর বলেন, মনকিচরে হামলার ঘটনা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।