G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

বর্তমান সরকার বিনামূল্য গ্রামে গঞ্জে টিকার পৌছে দিচ্ছেন-উদ্ভোধনী অনুষ্টানে এমপি মোস্তাফিজ

0

মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের,বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

সরকার কর্তৃক টিকা নেওয়ার সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করায় এবং গ্রামে করোনা সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় টিকার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে মানুষর। মানুষের মধ্যে টিকার নিবন্ধনে দেখা গেছে ব্যাপক উৎসাহ। যুবসমাজের অংশগ্রহণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

এমন চিত্র দেখা গেলো বাঁশখালী পৌরসভা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে । শনিবার (০৭আগস্ট) বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নে চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালীর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জমান চৌধুরী ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শফিউর রহমান মজুমদার উপস্থিত থেকে শুভ উদ্ভোধন করেন। অন্যদিকে বাঁশখালী পৌরসভায় মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী সহ ১৪ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ পরিষদ কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে চলছে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেনন।

বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সার্বিক তত্বাবধানে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিদর্শকগণ এ কার্যক্রম সফলে অংশ নিয়েছেন। আর তাদের সহযোগিতা করছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভলান্টিয়ারগণ।

টিকাগ্রহীতা ২৫ বছর বয়সী হোসাইন মুহাম্মদ বলেন, টিকা গ্রহণের সময় তার কিছুটা ভয় কাজ করছিলো। তবে টিকা গ্রহণের পর স্বস্তি লাগছে। কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। খেলার মাঠের মতো উন্মুক্ত সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে টিকা নিতে পেরে তিনি খুশি।


ইপিআই টেকনিশিয়াল মো. জয়নাল আবেদীন মাহবুব জানান, বাঁশখালী আশপাশের গ্রামগুলো দীর্ঘ সময় ধরে করোনামুক্ত ছিলো। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তাদের মধ্য টিকা নিবন্ধনের আগ্রহ বেড়েছে। এখন তারা প্রত্যেক উপজেলায় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছেন।

টিকাদান কাজে বাঁশখালী পৌরসভায় দায়িত্বরত মোঃ দিদার ও রেড় ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক মোঃ আব্দুর রহমান জানান, উন্মুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে বাঁশখালী পৌরসভা কার্যালয়ে মানুষ টিকা নিবন্ধন প্রথম পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা নিবন্ধন কার্যক্রমে গ্রামের মানুষকে সাহায্য করায় এবং সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকা গ্রহণকারীর ডাটা এন্ট্রি করে আপলোড দেওয়ায় টিকাদান কার্যক্রম সেবার মান আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। বেড়েছে টিকাদান ও নিবন্ধন।

বাঁশখালী পৌরসভা কার্যালয়ে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক আমিরুন্নিছা বলেন, এবার তারা চায়নার সিনোফার্ম ভেরোসেল টিকা দিচ্ছেন। এ টিকার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। তবুও সিভিল সার্জনের নির্দেশমতো টিকা গ্রহণকারীকে ৩০ মিনিট নিরাপদ জায়গায় বসিয়ে রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তবেই যেতে দেওয়া হচ্ছে।

এ সময় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এই গণটিকাদান কার্যক্রম সারাদেশের মত বাঁশখালীতে ও দেওয়া হচ্ছে। আজকে সারাদেশের মত বাঁশখালী উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে ২৫ বছর ও তার বেশী বয়সীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সী সবাই এই টিকা গ্রহণ করতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, টিকা বাজারের আসার আগ থেকে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো টিকা আগে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। “দেশে টিকা আসবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সেই দুশ্চিন্তা দূর করে দিয়েছেন। অনেক ধনি দেশের আগেই আমাদের দেশের মানুষের জন্য তিনি টিকা এনেছেন। প্রতিটি জেলায় উপজেলায় বিনামূল্য মানুষের জন্য টিকা পৌঁছে দিয়েছেন।” আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁশখালী বাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাঁশখালী হাসপাতাল ছাড়াও বাঁশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি চালু রয়েছে, যেখানে শৃঙ্খলার সঙ্গে প্রচুর নারী ও পুরুষ করেনার টিকা গ্রহণ করছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.