G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

পাক-চীন হুমকি পাঞ্জাবে এস-৪০০ মোতায়েন করছে ভারত

0

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাবে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন শুরু করেছে ভারত। পাকিস্তান ও চীনের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ভারতীয় বিমানবাহিনী পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা স্থাপন করছে। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।

রাশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০। এ ব্যবস্থায় ভূমি থেকে আকাশে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায়। ২০১৮ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির ৫টি ইউনিট কিনতে মোট ৫৪৩ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করে ভারত।

স্থানীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে এএনআই জানায়, পাকিস্তান ও চীনের আকাশসীমা থেকে কোনো হুমকি এলে তা প্রতিহত করার সক্ষমতা রয়েছে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার। রাশিয়া ইতিমধ্যে ভারতকে এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করতে শুরু করেছে। আকাশ ও সমুদ্রপথে এগুলো ভারতে পৌঁছাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এ বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়া চুক্তি অনুযায়ী সবগুলো ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের কাজ শেষ করতে পারবে।

ইতিমধ্যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে রাশিয়ায় এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাব রাজ্যে এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা স্থাপন করার পর দেশের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের দিকে এগুলো স্থাপনের ব্যাপারে নজর দেওয়া হবে।

কী আছে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায়,চারটি ভিন্নধর্মী বিমান নিয়ে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এটি শত্রু বিমান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার এডব্লিউএসিএস বিমান প্রতিরোধে সক্ষম।

এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রে অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে দীর্ঘ পাল্লার একটি নজরদারি রাডার রয়েছে। এটি উড়ন্ত বস্তু শনাক্ত করতে এবং তা নিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছাতে পারে। এরপর লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান বিবেচনা করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ওই রাডারটিই ক্ষেপণাস্ত্রকে দিকনির্দেশনা দিয়ে লক্ষ্যবস্তুর কাছে পৌঁছে দেয়।

এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থারই উন্নত সংস্করণ। একসময় শুধু রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছেই এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ছিল। এর প্রস্তুতকারক কোম্পানি আলমাজ আন্তে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এটি।

এর আগে তুরস্কের কাছে এস-৪০০ বিক্রি করেছে রাশিয়া। এর জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে দেশটি। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি কেনার জের ধরে ভারতের ওপরও একই ধরনের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি তৈরি হয়। তবে ভারত বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গেই ভারতের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। খবর প্রথম আলোর।
সি-তাজ২৪.কম/এ.টি

Leave A Reply

Your email address will not be published.