G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

দেশনেত্রীর মুক্তি ও তার জীবনকে বাঁচাতে চাই : মির্জা ফখরুল

0

 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষা করাই দলের মুখ্য বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে দলের যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের কাছে, জনগণের কাছে এখন মূখ্য বিষয় হচ্ছে ম্যাডামের জীবনকে রক্ষা করা। কারণ এরা খুব সুপরিকল্পিতভাবে ম্যাডামকে হত্যার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাকে মুক্ত করতে চাই, তার জীবনকে বাঁচাতে চাই, তাকে সুস্থ করে জনগণের মধ্যে নিয়ে আসতে চাই।

আমরা জনগণের কাছে যাচ্ছি, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমরা দেশনেত্রীকে মুক্তি করার চেষ্টা করব- এখন রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের কাজ। এছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্বঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের অংশ হিসেবে আগামী শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে দুপুর দুইটায় বিক্ষোভ মিছিল করবে বিএনপি। নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শেষ হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে। গতকাল দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই যৌথ সভা হয়। মির্জা ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে যৌথসভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, ঢাকা জেলার দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, খন্দকার আবু আশফাক, নারায়ণগঞ্জের এটিএম কামাল, মামুন মাহমুদ, খন্দকার আবু জাফর, গাজীপুরের ছাইয়েদুল আলম বাবুল, শওকত হোসেন সরকার, সোহরাবউদ্দিন, মজিবুর রহমান, মানিকগঞ্জের জামিলুর রশীদ খান, এসএ জিন্নাহ কবির, টাঙ্গাইলের সাইদুল হক ছাদু, ফরহাদ রেজা, হান্নান মিয়া হান্নু, মুন্সীগঞ্জ জেলার সেক্রেটারি কামরুজ্জামান রতন, অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মহানগর উত্তরের আহসানউল্লাহ হাসান, এবিএম আবদুর রাজ্জাক, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, উলামা দলের শাহ নেছারুল হক, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার বিএসএমএমইউর ভিসির কাছে খালেদা জিয়ার প্যারেলো মুক্তির বিষয়ে ছোট ভাইয়ের আবেদনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা সম্পর্কে আমরা ঠিক বলতে পারবো না। কারণ এটা আমরা করিনি বা তার পরিবার থেকে প্যারেলো আবেদন করা হয়েছে সেটাও আমাদের জানা নেই। এই আবেদনের পর বিকেলে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলামসহ ৫ জন নিকটাত্মীয় বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেন। বেরিয়ে এসে সেলিমা ইসলামও সাংবাদিকদের কাছে গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে মানবিক বিবেচনায় নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তার মুক্তির জন্য আইনের সবগুলো বিষয় চেষ্টা করেছি, এখনো করে যাচ্ছি আইনগতভাবে। আমরা তো সব সময় দাবি জানাচ্ছি, আপনাদের মাধ্যমেও জানাচ্ছি, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি, পার্লামেন্টেও জানানো হয়েছে। এখন পুরো বিষয়টাই সরকারের হাতে। এটা আইনের বিষয় নয়। তাকে বেআইনিভাবে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আটক করে রাখা হয়েছে। সুতরাং সিদ্ধান্তটা রাজনৈতিক হতে হবে অর্থাৎ দখলদার সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তার কি দেশনেত্রীকে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটক করে রাখবেন, না তাকে মুক্তি দেবেন?

খালেদা জিয়াকে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় জামিন না দিয়ে আটক রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশনেত্রীর মামলা শেষ হয়ে যায়নি। এটা এখনো বিচারাধীন। এই ধরনের মামলায় যেকোনো ব্যক্তির একটা সাংবিধানিক অধিকার জামিন পাওয়া। এটা তার হক। সেই হক থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই ধরনের মামলাতে একজন সাধারণ নাগরিকও সাত দিনের মধ্যে জামিন পায়। কিন্তু উনাকে আজকে দুই বছর ধরে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এভাবে আটক করে রাখা হয়েছে বেআইনিভাবে। আজকে জনগণের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে, এই ধরনের অন্যায়, এই ধরনের বেআইনি কাজ, এই ধরনের রাজনীতিকে ধবংস করে দেয়ার যে কৌশল সেগুলোকে নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য জনগণকে সামনে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের সম্মিলিত ঐক্য ও সোচ্চার হওয়ার মধ্য দিয়েই এই ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন-অন্যায়কে আমরা পরাজিত করতে সক্ষম হবো বলে আমি বিশ্বাস করি। জনগণকে আহবান জানাচ্ছি, আসুন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে তারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাবেন এবং দেশনেত্রীর মুক্তির পথকে আরো তরান্বিত করবেন।

সি-তাজ২৪.কম/এস.টি

Leave A Reply

Your email address will not be published.