G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

ফটিকছড়িতে জামিয়া ফারুকীয়া মাদ্রাসার যাত্রা শুরু

0

 

এইচ.এম.সাইফুদ্দীন:ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভাস্থ আজম রোড সংলগ্নে দেশের এই প্রথম কওমী সিলেবাস ১ম শ্রেণি ইয়াজদাহুম থেকে মাস্টার্স দাওয়ায়ে হাদিস পাঠ নিয়ে ফটিকছড়িতে জামিয়া ফারুকীয়া মাদ্রাসার যাত্রা শুরু।

অনুষ্টিত গত ২৮ অক্টোবর আল-জামিয়াতুল আরবিয়া নছিরুল ইসলাম মাদ্রাসা (নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা) একক শুরার সিদ্ধান্ত প্রত্যখ্যান করেন মাওলানা সেলিমুল্লাহ নিজ উদ্দ্যোগে অব্যাহিত শিক্ষকদের নিয়ে জামিয়া ফারুকীয়া মাদ্রাসা নাম দিয়ে আজ ৩১ অক্টোবর নাজিরহাট এফ টি ওয়াই কমিটি সেন্টারে বুখারী শরীফের ক্লাসের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করেন।

জামিয়া ফারুকী মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা নুরুল আলম নছিরী বলেন এক- দেওবন্দের মোহতামিম থাকা অবস্থায় ক্বারি তৈয়ব (রহঃ) অন্যান্য ওস্তাদদের সাথে এখতেলাফ করে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে ওয়াকফ দেওবন্দ নামে আরেকটা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন যেটা ছাত্র সংখ্যার দিক দিয়ে প্রায় মুল দেওবন্দ মাদ্রাসার কাছাকাছি।

দুই- হাটহাজারি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা চারজন।
মাওলানা হাবিবুল্লাহ সাহেব (রহঃ), মাওলানা আব্দুল ওয়াহেদ সাহেব (রহঃ), মাওলানা হামেদ (রহঃ), মাওলানা আজিজুর (রহঃ), মাওলানা হাবিবুল্লাহ সাহেব (রহঃ) ছাড়া বাকি তিনজন এখতেলাফ করে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে বড় বড় তিনটা মাদ্রাদা প্রতিষ্ঠা করেন।
১। বাবুনগর মাদ্রাসা ২। বোয়ালখালি ওয়াহেদিয়া মাদ্রাসা ৩। ফতেহপুর মাদ্রাসা।

তিন- হাটহাজারি মাদ্রাসার ১ম শাইখুল হাদিস সাঈদ আহমেদ সাহেব সন্দীপী (রহঃ), ১ম মুফতিয়ে আজম মুফতি ফয়জুল্লাহ সাহেব (রহঃ)। এই দুই বুজুর্গ এখতেলাফ করে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে বড় বড় দুইটা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
১। ছারিয়া মাদ্রাসা ২। মেখল মাদ্রাসা।
চার- মেখল মাদ্রাসার সাথে এখতেলাফ করে বের হয়ে যান হাফেজ সাহেব হুজুর (রহঃ) আর মুফতি শাব্বির সাহেব (দাঃবাঃ)।
পরবর্তীতে হাফেজ সাহেব হুজুরের অধিনে প্রায় চারশ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হয়।
আর মুফতি শাব্বির সাহেব (দাঃবাঃ) নিজ জন্মস্থান নরসিংদীর শিবপুরে কয়েকটা বড় বড় মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং করতেছেন।

পাঁচ- মুফতি আব্দুর রহমান সাহেব (রহঃ) ছিলেন পটিয়া মাদ্রাসার ওস্তাদ।
এখতেলাফ করে বের হয়ে ঢাকা বসুন্ধরা মাদ্রাসা সহ প্রায় ১০০ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

ছয়- মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ সাহেব (দাঃবাঃ) বসুন্ধরা মাদ্রাসার প্রধান মুফতি ছিলেন। এখতেলাফ করে বের হয়ে শায়খ জাকারিয়া (রহঃ) ইসলামিক রিচার্স সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন।

সাত- মুফতি হিফজুর রহমান সাহেব (দাঃবাঃ) এবং মুফতি মনছুরুল হক সাহেব (দাঃবাঃ) জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসার ওস্তাদ ছিলেন।
এখতেলাফ করে বের হয়ে জামিয়াতুল আবরার নামে আরেকটা মাদ্রাসা করেন যেটা প্রায় জামিয়া রাহমানিয়ার চেয়ে বড়।

ওলামাদের এই সব এখতেলাফ ছিল মতাদর্শগত এবং পরিচালনাগত বিষয়ে এখতেলাফ।
যার কারনে দ্বীনের যেকোনো জাতিয় এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে সবাই এক শরিরের মত হয়ে কাজ করেছেন।
সবাই পরস্পরের সহযোগী হয়েছেন এবং এই এখতেলাফ উম্মতের জন্য রহমত হয়ে এসেছে।এই রকম অনেক মাদরাসা ফটিকছড়িতে রয়েছে বলে তিনি জানান।

জামিয়া ফারুকী মাদরাসার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাজিরহাট বড় মাদরাসার সাবেক মুহাদ্দিস ও শিক্ষা পরিচালক মাওলানা সেলিমুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জহুরুল আলম কোম্পানি,মোঃ লোকমান,মোঃ সোলাইমান,আলহাজ্ব রুহলামিন চৌধুরী,আলহাজ্ব আইয়ুব কোম্পানি, আলহাজ্ব সেলিম কোম্পানি, ইসমাঈল চৌধুরী,হাফেজ মোঃ মোজাফ্ফর আনছারী,মোঃ আনোয়ার হোসেন,আমান উল্লাহ,বশির আহমদ,মোঃ আলী চৌধুরী,হাফেজ মোঃ আব্দুল্লাহ মেম্বার,হাফেজ আব্দুল করিম,মোঃ ফরিদ কোম্পানি,মোঃ হাসমুতুল্লাহ,মোঃ জাকারিয়া,মোঃ সোলইমান চৌধুরী,মোঃ হেলাল চৌধুরী,মাওলানা নিজাম উদ্দীন মাওলানা দিদারুল আলম,হাফেজ ওহিদুল্লাহ। আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র জামিয়ার শিক্ষক মাওলানা সালাহ উদ্দীন, মাওলানা মুফতি হাসেম
মাওলানা মিজান,মাওলানা নুরুল আলম নছিরী
মাওলানা মাজফুজুর রহমান,মাওলানা ইদ্রীস,
হাফেজ আব্দুল কাদের মাওলানা ইয়াছিন,
মাওলানা আলী আকবর, মাওলানা আমির হোসেন,মাওলানা আব্দুর রহিম, মাওলানা হারুনুর রশিদসহ নাজিরহাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,শিক্ষানুরাগী,সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সি-তাজ.কম/এস.টি

Leave A Reply

Your email address will not be published.