চট্টগ্রাম : করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে রয়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। নগরীতে টহল দিচ্ছেন পুলিশ, র্যাব ও সেনাবািহনীর সদস্যরা। সঙ্গে রয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট। নগরে চলাচল নিয়ন্ত্রণের ওপর কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তারা। নগরীর চারপাশে (আগমন ও বের হবার) রাস্তায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। কোনো লোক নগরীতে ঢুকতে ও বের হতে পারছেনা। এক প্রকার অঘোষিত লকডাউনে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম।প্রায় জনশুন্য এ শহরের রাজপথ।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো . ইসমাইল বলেন, চলাচল খুবই সীমিত করা হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। নগরীর প্রবেশ পথ কর্ণফুলী থানা এলাকা দিয়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঢুকতে ও বের হতে পারছেনা।একেবারেই বন্ধ করে দেয়ার আদেশ আমরা পায়নি।
চান্দগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত ( ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, কোনো ধরণের গণপরিবহন চলাচল না করায় নগরীতে কেউ ঢুকতে পারছেনা। জরুরি প্রয়োজনে কিছু মালবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে। এছাড়া আর কোনো ধরণের গাড়ি চলাচল করছে না।
আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান জানান, নগরীর প্রবেশপথ সিটিগেট এলাকা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালবাহী ট্রাক ছাড়া কোনো গাড়ি ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। গণপরিবহন চলাচল না করায় লোকজন নগর থেকে বেরও হতে পারছেনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পুলিশের( বিশেষ শাখার) উপ পুলিশ কমিশনার মো.আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, বর্তমানে নগরীতে পুলিশের ১শ’টি ও ১৬ থানায় সেনাবাহিনীর ১৬ টিম মাঠে রয়েছে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া টহল দিচ্ছে র্যাব।
এছাড়া নগরীতে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরণের দোকান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। রোববার (৫ এপ্রিল) রাতে সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।নিষেধাজ্ঞায় কাঁচাবাজার, মুদি দোকানসহ সব ধরণের দোকান বন্ধ ঘোষণা করেন সিএমপি কমিশনার। কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।