G-VV5KW25M6F
Take a fresh look at your lifestyle.

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাঁশখালীর উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, লোকালয়ে পানি

0

মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের,বাঁশখালী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বেশ কয়েকটি  উপকূলীয় এলাকা ও জলকদর খা‌লে পা‌নি বৃ‌দ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধ উপড়ে লোকালয়ে প্লা‌বিত হ‌চ্ছে পানি। উপকূলীয় খানখানাবাদ প্রেমাশিয়া, সরল,ছনুয়া,পু্ঁইছুড়ি, গন্ডামারা এলাকায় জোয়ারের পা‌নি বৃ‌দ্ধি শে‌খেরখীল গুইল্যাখা‌লি ও ফাঁড়ির মুখ এলাকায় বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকেছে লোকালয়ে। এছাড়া, সাগর উপকূলের অ‌ধিকাংশ এলাকায় বেড়িবাঁধ উপড়ে প্লাবিত হচ্ছে পানি।জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

গন্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লেয়াকত আলী জানান,বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হওয়ায় আমার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্পটে বেড়িবাঁধ উপড়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। ইইতিমধ্যে প্রায় ২ শতাধিক বাড়ি ঘর ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন এবং সকাল থেকে বিভিন্ন স্পটে আমি আছি এবং মানুষের যান মাল নিরাপত্তার জন্য বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন ও আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি।
শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াছিন জানান- সকালে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জোয়ারের পানির ফাঁড়ির মুখ  ও গুইল্যাখালী এলাকায় আংশিক অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি ডুকেছে।  তবে  জোয়ারের পানিতে তেমন কোন বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম মিয়াজী বলেন,
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বেশ কয়েকটি  উপকূলীয় ইউনিয়নে জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ উপড়ে লোকালয়ে ডুকেছে। তবে জোয়ার ভাটার সাথে সাথে পানি উঠা নামা করবে। তেমন কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি,এবং বিভিন্ন চেয়ারম্যানদের কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কোথায় কোন ক্ষয়ক্ষতি হলে জানানোর জন্য। ইতিমধ্যে  ১০৫ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র  প্রস্তুতি রয়েছে।

বাঁশখালী উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন,  ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায়  উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি জানান, উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল থেকে মানুষ জনকে নিরাপদে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য  উপজেলা পর্যায়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু, উদ্ধার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক  প্রস্তুতিসহ ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপিপি)  স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাঁশখালী উপজেলার ১০৫ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র  মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রাখতেও উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
এখন ও পযর্ন্ত তেমন কোন বড় ধরনের ক্ষয় ক্ষতি হয়নি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.